চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার কালে দুই যুবতি উদ্ধার পাচারকারী আটক
বিশেষ প্রতিনিধি:-
ভারতের বিউটি পার্লারে কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশী দুই যুবতিকে ভারতে পাচারের সময় দর্শনা সীমান্তে সিমা আক্তার (২২) ও সংগীতা বৈরাগী (২০) নামের দুই যুবতিকে উদ্ধার করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পাচারের সাথে জড়িত দালাল শাহিন হোসেনকে(২৪) আটক করেন।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় দর্শনা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে নারী পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী উপজেলার পানিকল বউবাজার গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সীমা আক্তার ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ হাজারবাড়ী গ্রামের তরণী বৈরাগীর মেয়ে সঙ্গীতা বৈরাগীকে ভারতে বিউটি পার্লারের কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাল্টু মিয়া (৩০) নামের এক যুবক তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে খালিশপুরে নিয়ে আসে। শুক্রবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামের মুহিদুল ইসলামে ছেলে শহিন হোসেনে হাতে তুলে দেয় লাল্টু মিয়া।
পরে সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামে রাতের আঁধারে ভারত মনবপাচার করা সিন্ডিকেট সদস্য জয়নগর গ্রামের শাহিন হোসেন রাশেদ,সোহেল,শরিফুল ইসলাম আজেরসহ ৭-৮ জন তাদের জয়নগর গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে রাখে।
সোমবার ভোর ৫ টার দিকে মানবপাচারের সিন্ডিকেটের হোতা শাহিনের নেতৃত্বে অন্যান্য পাচারকারীরা দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৫/৩ নম্বর মেইন পিলারের ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।
এ সময় জয়নগর সীমান্তে টহলরত দর্শনা কোম্পানি সদর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক জিয়াউর রহমান ল্যান্স নায়েক পলাশ,ফয়সাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের ধাওয়া করে সীমা আক্তার ও সংগীতা বৈরাগী দুই যুবতীকে উদ্ধারপূর্বক পাচারকারী শাহিন হোসেনকে আটক করে।
এ ঘটনায় সীমা আক্তার অবৈধভাবে সীমান্তে নারী পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শহিদ তিতুমীর বলেন, দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করার সময় দুই নারীসহ এক পাচারকারী আটক করে বিজিবি।
ওই দিন সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। মানব পাচারকারী শাহিন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়,
সে পলাতক আসামিদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজসে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া টপকিয়ে বা ছিড়ে বাংলাদেশ হতে ওই দুই যুবতীদের ভারতে পাচার করবে বলে সীমান্ত নিয়ে যায়। ভারতে বিভিন্ন জুয়ার ক্যাসিনো মদের বার আবাসিক হোটেলে পতিতালয়ে কাজের উদ্দেশে পাচার করছিল বলেও স্বীকার করে।