আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নম্বর নলডাঙ্গা ইউনিয়’নের নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসায় একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে।।
সম্প্রতিকালে নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার আব্দুল হামিদ নামের একজন শিক্ষক ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে তাকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পলাতক ওই শিক্ষক আঃ হামিদের বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে বাড়ি। বৃহঃবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার নিকট আত্মীয়।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গতকাল রাত থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। দুই পরিবারের অভিভাবকরা হন্নে হয়ে খুজলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির ওই ছাত্রী ও একই মাদ্রাসার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল। গত ৪ মাস আগেও তারা একবার পালিয়ে যায়।
স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সমন্বয়ে দেনদরবার করে বিষয়টি মিমাংসা করে। এ নিয়ে এলাকায় দোকান-পাটসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা গুঞ্জন চলছে।
মাদ্রাসা শিক্ষকেরা যদি এরকম হয় তাহলে ছাত্রীরা সেখানে যে লেখাপড়া কিভাবে করবে। যেখানে শিিক্ষকদের নৈতিক চরিত্র ভালো না সেখানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়?
এই মাদ্রাসাার সুপার ইকবাল আনোয়ারের বিরুদ্ধে মাস খানেক পূর্বে মাদ্রাসায় কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
তাছাড়া উক্ত মাদ্রাসার সুপার যখন কালিগঞ্জ উপজেলার গবেল আলী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তখন তার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষে
শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে ওই এলাকায় ঢিঢি পড়ে যায় অনৈতিক কার্যকলাপের। শিক্ষক যদি হয় ভক্ষক তাহলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়?