দৈনিক গ্রামের কাগজের সংবাদ প্রকাশ: জগদ্বীশপুরে নতুন রাস্তা করে দিলো অভিযুক্তরা

শওকত আলী অংকুর (এলাঙ্গী কোটচাঁদপুর):-

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের  এলাঙ্গীতে সড়কের ইটের প্রাচীর নির্মাণ, বিপাকে পথচারীরা শিরোনামে গত ২০ ডিসেম্বর তৃতীয় পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশের পর সেই সড়কটি নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দিলেন সুবল ও সুকেশ হালদার।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সড়কটির কাজ করে দেন তারা। জানা যায়, কোটচাঁদপুরের জগদ্বীশপুর হালদার পাড়া বসবাস করেন ২০টি পরিবার। যাদের চলাচলের কোনো রাস্তা ছিল না।

ওই পরিবারগুলো মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতেন।

এরপর গেল ০৭/০৬/২০২৩ইং তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (২য় সংশোধিত) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কোটচাঁদপুরের অধীনে সড়কটি নির্মিত হয়।

সেই সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার ২০ পরিবারের মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন।

এরপর গেল ১৮/১১/২০২৪ইং তারিখে সুবল হালদার বাড়ি হয়ে গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মোকাদ্দামা দায়ের করেন।

ওই একই ঘটনায় গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে আরো দুইটি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকাদ্দামা দায়ের করেন সুবোল হালদার। এ সব করেই চুপ থাকেনি তারা।

গেল ০৯/১২/২০২৪ইং তারিখ মধ্যরাতে সুবল ও সুকেশ হালদার তাদের লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক সড়কের প্রবেশ মুখে দেওয়াল নির্মাণ করেন। এছাড়া ওই সড়কের পাশেই ফেলে রাখেন কিছু ইট।এতে করে চলাচলের রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি হয় ওই পরিবারগুলোর।

বিষয়টি নিয়ে গেল ২০ তারিখের দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শুরু সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দৌড় ঝাপ।

এরপর চলে অনেক দেন দরবার। শালিশ হয় কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদে। ওই শালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী (২৫-১২-২০২৪) তারিখে সুবল হালদার ও সুকেশ হালদার সড়কের উপরের সেই দেওয়াল ভেঙ্গে নিজ অর্থায়নে নির্মান করে দিলেন সড়কটি।

এতে করে আবারও যাতায়াতের সুবিধা ফিরে পেলেন ওই এলাকার পরিবারগুলো। এব্যাপারে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সড়কটি নির্মান করেছিলেন উপজেলা বিআরডিবি বিভাগ।

এই সময় উভয়ের সম্মতিক্রমে সড়কটি করা হয়। সম্প্রতি মামা ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ হওয়ায় ভাগ্নে সুবল ও সুকেশ হালদার সড়কের ইট তুলে তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন।

এরপর বিষয়টি নিয়ে মামা গোপাল হালদার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে শালিশ হয় এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদে।

ওই শালিশে সিদ্ধান্ত হয় সড়কটি পুণরায় নির্মাণ করে দিবে তারা। সে অনুযায়ী সড়কটি সুবল ও সুকেশ করে দিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *