জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গারজীবননগর উপজেলার মনোহরপুরশিমুলতলাপাড়ায় বিয়ের ৯ দিনের মাথায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে দফায় দফায় নির্মম ভাবে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিমুলতলা মোড়ে সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বাঁধা দিলেও পাষন্ড স্বামী তাদের প্রতি মারমুখি আচরন করে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার পৌর শহরের জীবননগর হাসপাতালপাড়ার আবুল হোসেনের কন্যা সিমা খাতুন(২৮)বলেন,
উপজেলার মনোহরপুর শিমুলতলাপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে রানা আহম্মেদ(৩০) প্রথম স্ত্রী-সন্তান রেখে আমাকে ফুঁসলিয়ে চলতি ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিয়ে করে।
বিয়ের পর রানা আহম্মেদ আমার সাথে ভাল আচরন না করায় এবং আমাকে স্ত্রীকে হিসাবে নৈতিক অধিকার না দেয়ায় আমি ভুল করেছি মনে চলতি ২৫ ডিসেম্বর তাকে স্বেচ্ছায় তালাক প্রদান করি।
আমার বাবা-মা না থাকার কারণে আমি বড় দুলা ভাই ইব্রাহিমের বাড়ীতে আশ্রয় নিই। কিন্তু ব্যাপারটি রানা মানতে না পেরে সে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে আমার উক্ত দুলা ভাইয়ের বাড়ীতে যায় এবং আমাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।
আমাকে না পেয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরন করে। এদিকে আমি একই দিন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে খয়েরহুদা গ্রামে আমার ফুফু বাড়ী থেকে ফিরে আসার সময় রানা আমাকে শিমুলতলা মোড়ে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। তার মারপিটের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞাত হয়ে পড়ে।
আমার জ্ঞান ফিরে আসলে সে আবারও মারপিট করতে থাকে। এ সময় পথচারীরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে মানুষকে আবোল-তাবোল কথা বলার কারণে তারা আমাকে সহযোগীতা করতে সাহস পায়নি।
আমাকে দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় মারপিট করে। পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। আমি লোকজনের সহযোগীতায় জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার তুহিনুজ্জামান তুহিন বলেন,আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই শুনিনি। তবে রানাকে আমি চিনি।তার দ্বিতীয় বিয়ের কোন খবর আমার জানা নেই।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।