জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পিকনিক করা নিয়ে দু’পক্ষের সৃষ্ট বিবাদে ৩ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাঁকা পূর্বপাড়ায় সংঘটিত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতরা হচ্ছেন-,বাঁকা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবয়ক মোঃ আনায়ার হোসেন (৪৩), বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম হোসেন (৫০) ও রাধুনী ফিজু রহমান (৫৫)।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবয়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাঁকা পূর্বপাড়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিকসহ স্থানীয় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও বিএনপির কর্মি একটি পিকনিকের আয়োজন করেন। পিকনিকের সমস্ত উপকরণ রান্নার প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি খাদিমুল হক খোকন ও স্থানীয় মেম্বার রাজ্জাকের ছেলে শাহিন(৩৫) ও খোকনের(২৮) নেতৃত্বে ২০-২২ জন সেখানে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পিকনিকের উপকরণে লাথি মেরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার ও বিএনপি কর্মি ইব্রাহিম ও রাধুনি ফিজুকে আহত করে।আমরা স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিই।
পরে ঘটনাস্থলে জীবননগর পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডাবলু,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিমন স্থানীয় বিএনপি কর্মী লিমন সেখানে যায় এবং উভয়পক্ষকে শান্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি খাদিমুল হক খোকন বলেন,সেখানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা তাদেরকে প্রতিবাদ জানিয়েছি যে,মুল দল পাশ কাটিয়ে এসব কেন করা হচ্ছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল বাসার বলেন, ঘটনাস্থলে মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি।আর সেখানে ছাত্রদলের কোন প্রোগাম ছিল না। স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল একটি পিকনিকের আয়োজনে করে যেখানে আমাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে অনেক লোকজনকে ওই পিকনিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।
তবে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন,মারামারি হয়েছে ঠিক। তবে সেই মারামারিতে আনোয়ার হোসেন সবচেয়ে বেশী আহত হয়েছে। আমি তাকে দেখতেও গিয়েছিলাম। পিকনিক অনুষ্ঠানটি ছাত্রদলের ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মকছেদুর রহমান রিমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাস্থলের একদিকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে ঘিরে নেতাকর্মিরা কেক কাটছিল।
অন্যদিকে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা পিকনিক করছিলেন। সেই সময় ঘটনাটি ঘটে বলে আমরা জানতে পারি। হামলার শিকার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন সবচেয়ে বেশী আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি আসলে এলাকায় গ্রুপিং আর আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার কথা শুনেছি। তবে উভয়পক্ষই বর্তমানে শান্ত আছে। ঘটনা নিয়ে কোনপক্ষই থানায় কোন অভিযোগ করেনি।