জীবননগর রায়পুরে জমি জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ উভয়পক্ষের দু’জন মারাত্মকসহ ৪ জন আহত থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুরে বিরোধপুর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দু’জন মারাত্মকসহ ৪ জন আহত হয়েছে। দু’পক্ষের  পাল্টাপাল্টি  হামলার  ঘটনায়  আহতদেরকে  জীবননগর  হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি  বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে  রায়পুর কালাদুয়ার  মাঠে সংঘটিত হয়েছে। এ রিপোর্ট  লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় দু’পক্ষই জীবননগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

জীবননগর উপজেলার রায়পুর কামারপাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে বাবর আলী(৪৮) বলেন,আমাদের রায়পুর কালাদুয়া মাঠের জমি নিয়ে আকবর আলী কুশে মন্ডলের  সাথে একই গ্রামের লোকমান মোল্যার ছেলে কুদ্দুস মোল্যাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

কুশে মন্ডলের   জমি  বৃহস্পতিবার   দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কুদ্দুস   মোল্যা ও তার তিন ছেলে আবু হুরাইয়া,আলম ও সাদ্দাম হোসেন ভাগ্নে কবির হোসেন,রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফি,তার ছেলে সোহেল রানা,ভাই আব্দুল লতিফ ও মিন্টু দখল করতে গেলে তা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে  উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।  আমরা ঘটনা শুনে তা দেখতে যাই এবং তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।

কিন্তু    কুদ্দুস  মোল্যা  তার দুই ছেলে ও   ভাগ্নে  আমাদের   ওপর হামলা  চালিয়ে  বেধড়ক  মারপিট  শুরু  করে। আবু  হুরাইরা আমাকে,সাদ্দাম আমার ভাইপো মহিউদ্দিনের মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং কুদ্দুস মোল্যা ও কবির আমাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।

এদিকে   অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন  নিজেকে রায়পুর  ইউনিয়ন যুবদলের  সভাপতি দাবী  করে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কুশে মন্ডল রাস্তার জমি ঘিরে নিচ্ছিলেন। আমরা তাকে রাস্তার জমি ঘিরে নিতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ বাবর আলীর নেতৃত্বে অন্যান্যরা আমার পিতা কু্দ্দুস মোল্যার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।

পরে তারা আমাদের বাড়ী ঘরেও হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে। যুবদল সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আরো বলেন,এই চক্রটি আমাদের ওপর আরো কয়েকবার হামলা চালিয়েছে।

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মারামারি তো একের পর এক হয়েই যাচ্ছে। এসব হচ্ছে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে। উভয়পক্ষই বিএনপির নেতাকর্মি ও সমর্থক।  আমি ও আমার ছেলে ও ভাইয়েরা তো কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। আমার লোকজনকে আমি সব সময় শান্ত থাকার কথা বলি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তো আর শুনছে না।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমরা শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে উভয়পক্ষই ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ দিতে পারে। তদন্ত করে চুড়ান্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *