আবু সাইদ শওকত আলী, ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম পিতা মোঃ আলী আকবর ছাত্র জীবন থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন চিকিৎসক হওয়ার।
মুখে বললেই তো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়।চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও অর্থের কাছে নিরব হয়ে যায় সেই স্বপ্ন পূরণ।
স্বপ্ন দেখা সহজ হলেও বাস্তবতা নিম্নবিত্ত পরিবারের নিকট বড়ই কঠিন। তবুও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন যেন মেধাবী সাইফুল ইসলাম কে নিরাশ হতে দেয়নি।
শেষমেষ ভাগ্য যেন মেধাবী সাইফুল ইসলাম কে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করে দেয়।
যার অনু প্রেরণায় আজ চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে স্বপ্ন কে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। সেই মানবতার মহীয়সী ব্যক্তি চিকিৎসক হিসেবে স্বপ্ন কে বাস্তবতায় পরিনত করেছেন।
সালমা আখতার জাহান ম্যাম চেয়ারপার্সন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বানিজ্য মন্ত্রণালয়) সরকারের অতিরিক্ত সচিব (সাবেক)।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে অবদানের কথা বলতে মেধাবী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, অনেকদিন পরে ম্যামের অফিসে দেখা হয়েছে।
এতোদিন পরে দেখা হওয়ার পরেও আমার প্রতি ম্যামের আদর আর ভালবাসা একটুও কমেনি। আমার এতদূর আসার পিছনের গল্পটা ম্যামের হাত ধরেই কিন্তু কখনো ম্যামকে নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
জীবনে যারা অনন্য উচ্চতায় উঠেছেন তাঁদের সবারই একটা অসাধারণ গুণ ছিল/আছে কৃতজ্ঞতা ও বিনয়। তিনিও তাঁদেরই একজন।
আমি এখনো পুরোপুরি সফল মানুষ না তবে আজকের আমি আল্লাহর রহমতে যতদূর এসেছি তার পুরো কৃতিত্বই আমার ম্যাম, আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন সালমা আখতার জাহান ম্যামের।
এতো বড় পদে আসীন একজন মানুষ যে এতো সাবলীল ও বিনয়ী হতে পারে তার সবথেকে বড় উদাহরণ হচ্ছেন ম্যাম।
১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ যখন পেলম না।
অন্য দিকে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াশোনা করার মত ব্যয় বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না।
ছোট্ট বেলার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল, তখন আল্লাহর রহমতে ম্যাম আমার স্বপ্ন পূরণের রাস্তাকে সহজ করে দিলেন।
এই সময়ে ম্যাম ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। গাজী মেডিকেল কলেজে “দরিদ্র ও মেধাবী” কোটাতে আবেদন করলে ম্যাম আমার সকল কিছু বিবেচনা করে গাজী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে আমাকে ভর্তি করে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন।
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পিছনের গল্পটা এই অসম্ভব বড় মনের অধিকারী অসাধারণ মানুষটার হাত ধরেই। উনার মতো সৎ ও নিষ্ঠাবান একজন মানুষ পাশে না থাকলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পুরনই হতো না।
আমার এক মা জন্ম দিয়ে এই সুন্দর পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আর আরেক মা আমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে দেশবাসী সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী
ডা.মোঃ সাইফুল ইসলামএমবিবিএস (গাজী মেডিকেল কলেজ) এফসিপিএস (পার্ট ১) (নিউরোলজি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ।