আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সিনিয়র সাংবাদিক শিহাব মল্লিকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীরা বসতবাড়ি ভাংচুর করে, ওই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শৈলকুপা পৌরসভার বাজারপাড়া এলাকায় হামলার ওই ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিহাব মল্লিক দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি ও শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
হামলাকারীরা হলেন- একই এলাকার শামসুল আলম, তার স্ত্রী মালা খাতুন, ছেলে সজিব ও সাকিবসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।
সাংবাদিক শিহাব মল্লিক জানান, ‘আমার প্রতিবেশি শামসুল আলমের ছেলে সাকিব (১৭) গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে বিবাহের উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মুলগ্রামে একটি বাড়িতে নিয়ে রাখে।
বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার বিকালে ওই মেয়ের আত্মীয়স্বজন এবং ছেলের পরিবারের পক্ষে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে কুমারখালীর মূলগ্রামে গন্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে দুজনকেই অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেন।
’ তিনি বলেন, ‘মিমাংসার ঘটনার সাথে আমি বা আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয় এবং এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করিনি।
অথচ মেয়েটির পরিবার আমার আত্মীয় হওয়ায় প্রতিবেশী শামসুলের পরিবার বাসায় ফিরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর করে।
এসময় বাসায় থাকা আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে রাম’দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপাতে গেলে তারা পাশের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে চিৎকার,
চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা জড়ো হলে হামলাকারীরা হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
ওই সাংবাদিকের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমিসহ দুই কন্যা সন্তান বাড়িতে ছিলাম।
হঠাৎ বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তারা ভাংচুর করে। তারা আমার স্বামীকে ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামসুল ইসলামের বক্তব্য জানতে গেলে তাদের পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা- উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন।