জীবননগর দেহাটিতে বিয়ের ৩৫ বছর পর সংসার ভাঙ্গছে গৃহবধু রোকেয়ার স্বামী সংসারে টিকে থাকতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার  জীবননগর উপজেলার  দেহাটি  গ্রামে রবিউল ইসলাম রবি-রোকেয়া খাতুনের ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে ভাঙ্গনের সুর বেঁজে উঠেছে।

বেপরোয়া  স্বামী সংসারে তারপরও টিকে থাকতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন গৃহবধু রোকেয়া খাতুন(৫৫)।

ঘটনার  ব্যাপারে  থানায়  লিখিত  অভিযোগ  দিলেও  থানা
পুলিশের ডাকে সাড়া দেয়নি পাষন্ড স্বামী রবিউল ইসলাম রবি। স্বামী রবি শেষ পর্যন্ত তালাক দিচ্ছে শুনেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গৃহবধু রোকেয়া খাতুন।

জীবননগর পৌর শহরের নারায়নপুর সরকারপাড়া মৃত ইসাহক আলী মন্ডলের কন্যা রোকেয়া খাতুন বলেন,উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি রবিউল ইসলাম রবির(৬২) সাথে আমার অনুমান ৩৫ বছর আগে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর আমাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। সকল সন্তানদের ইতিমধ্যে বিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তাদের ঘরেও সন্তান সন্ততি রয়েছে।

রবির সাথে বিয়ের পর আমাকে সে খুব বেশী দিন ভাল
ভাবে রাখেনি। তারপরও সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে আমি কখন এলাকার লোকজনের বাড়ীতে ঝিঁয়ের কাজ করে,আবার কখনও তার সংসারে থেকে জীবন কাটিয়ে আসছিলাম।

প্রায় এক দেড় বছর ধরে সে আমাকে ঠিকমত খোরপোষ দেয় না।

অন্যদিকে আমাকে দিয়ে সে ও তার বোন আনোয়ারা কৌশলে ব্র্যাক এনজিও থেকে ৮০ হাজার এবং আশা এনজিও থেকে ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে আমাকে তারা নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়।

আমি বর্তমানে পিতামাতার বাড়ীতে আছি। এদিকে গত কয়েক দিন আগে উক্ত এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি তারা পরিশোধ না করায় আমার নামে সংস্থা

দু’টি মামলা করবে বলে জানায়। সেই ঘটনায় আমি বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে তাদের বাড়ীতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

সেই ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিই। পুলিশ তাদেরকে শনিবার থানায় আসতে বললেও তারা না এসে দেহাটি গ্রামের প্রভাবশালী মশিয়ার রহমান পুলিশের নিকট
থেকে এক সপ্তাহ সময়।

কিন্তু এদিকে তারা আমাকে তালাকনামা পাঠিয়েছে বলে
জানিয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে খয়েরহুদা গ্রামের কাজি আলমের নিকট গেলে তিনি তালাকের কথা স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম রবি বলেন,আমি বা আমরা কেউ তাকে তাড়িয়ে দিইনি। একটি ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার বাড়ী থেকে সমস্ত মালামাল নিয়ে চলে গেছে।

আমি তালাক দিয়েছি এবং হাদিস অনুযায়ী যা পায় আমি
তাকে সব দিয়ে দেব। জনৈক মশিয়ার রহমান বলেন,রবি তার স্ত্রী রোকেয়াকে অনেক আগেই তালাক দিয়েছে।
আমি থানা পুলিশের নিকট সময় নিয়ে বিষয়টি আপস নিস্পত্তি চেষ্টা করেছি এবং এখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রতি ভুল বুঝলে হবে না।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) শহিদুর রহমান বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত চলছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই পুলিশের শেষ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *