আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহ- কালীগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের৷ (সিআইডি) উদ্ধার করা মাংস ও হাড়ের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি ডিএনএ রিপোর্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একটি খাল এবং ফ্ল্যাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা মাংস এবং হাড়গুলো বাংলাদেশের সাবেক এমপি আনারের।
ভারতের সেন্ট্রাল ফারেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটারিতে দু’টি নমুনায় পাঠানো হয়েছিল। এই দু’টি ডিএনএ মিলে গেছে।
জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের নভেম্বর শেষ দিকে ডরিন কলকাতায় এসেছিলেন।
তখন তার ডিএনএ-র নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দু’টি নমুনা যাচায়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল ।
গত ১২ মে পশ্চিমবঙ্গে যান ঝিনাইদহের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার, সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান।
পরদিন ১৩ই মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার।
সন্ধ্যায় ফিরবেন বলে জানান তিনি। বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।
চলে যাবার পর সন্ধ্যায় তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তিনি ফোন করবেন।
পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপাল কে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।
১৭ই মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার (আনার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা।
পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকা ডিবিতে অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে ২২মে ভারতের সংবাদমাধ্যম খবরে বলা হয়,
কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে টুকরো টুকরো করে খুন করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সঞ্জিবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় চার কেজি মাংস উদ্ধার করে।
ঘাতকরা সঞ্জিবা গার্ডেনের ফ্লাটে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকর টয়লেটে ফ্ল্যাশ করে। এছাড়া শরীরের হাড় কলকাতার ভাঙ্গনের বাগজোলা খালের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় তারা।