জীবননগর কয়ায় দূর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাঁই মুদিখানা ও  চায়ের দোকান দিশেহারা ভুক্তভোগী পরিবার সন্দেহের তীর হুমকি দাতাদের দিকে

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে এক হতদরিদ্র পরিবারের মুদিখানা ও চায়ের দোকান।

এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দিনগত শুক্রবার রাত একটার  দিকে সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে সন্দেহের তীর সম্প্রতি কালে হুমকি দাতাদের দিকে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া ঈদগাহপাড়ার প্রান্তিক কৃষক কামরুল হাসানের ছেলে আমির হামজা(৩০) বলেন,আমি গ্রামের মানিকতলা

নামক স্থানে একটি টোং দোকান দিয়ে সেখানে মুদিখানা মালামাল বিক্রির পাশাপাশি চা বিক্রি করে কোন ভাবে সংসার চালিয়ে আসছিলাম।

আমি প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমার উক্ত দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়ীতে চলে যাই।

এদিকে শুক্রবার রাত ১ টার দিকে লোকজন আমার
বাড়ীতে গিয়ে জানায় দোকানে আগুন লেগেছে।

আমি ঘটনা শুনে গিয়ে দেখি দোকানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমরা ও জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা চেষ্টা
করেও আগুন নিভাতে পারিনি।

আগুনের  লেলিহান  শিখায় দোকান ও দোকানের  সমস্ত
মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। আগুনে আমার দেড় লক্ষাধিক টাকার  ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার  আয়ের  আর কোন  উৎস থাকলো না।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী  দোকানির অভিযোগ  একই গ্রামের আমিনুল,মামুন রাজা,বাদশা ও লিমনরা আমার দোকান উচ্ছেদ করার জন্য গত কয়েক দিন আগে হুমকি দেয়।

তারা আমাকে বলে দোকান উঠিনে না নিলে দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শেষ করা হবে। তাদের প্রতি আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তারা খুবই খারাপ মানুষ। তাদেরকে গ্রামের মানুষ খুব ভয় পায়।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি  খুব  দু:খজনক  ও  নির্মম। কি ভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে তা জানা যায়নি।

জীবননগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পরিদর্শক বলেন,দোকানটি ও দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল সম্পুর্ণ রুপে আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত  হয়েছে। আগুন  নিয়ন্ত্রণে  আনতে  আমাদেরকে ১০-১৫ মিনিট সময় লেগেছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে কি ভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *