জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামে বিরোধপুর্ণ জমি দখল করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় মারাত্মক আহত তিনজনকে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি সকাল ৯ টার দিকে পুরন্দরপুর দক্ষিনপাড়া মাঠে সংঘটিত হয়েছে।
মাঠে সৃষ্ট ঘটনার পর প্রতিপক্ষরা আহত কৃষক আলম মন্ডলের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের আলম মন্ডল বলেন,
আমার দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও আমার গ্রামের প্রতিপক্ষ আবেদ আলীর ছেলে মশিউর রহমান ও তার
অন্যান্য ভাইরা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে জমি ৬ বিঘার বেশী জমি তাদের দাবী করে বেদখল করে নেয়।
সেই ঘটনায় তারা আমাকে নানা ভাবে নাজেহাল করে। আমি তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তারা পুণরায় আবার সোমবার সকাল ৯ টার দিকে গ্রামের দক্ষিণ মাঠে আমাদের আরো এক বিঘা জমি দখল করতে যায়।
সেখানে আমি ও আমার ছেলে মারুফ হোসেন(১৮) ঘটনা দেখতে গেলে উক্ত মশিয়ার,তার ভাই হানিফ,মান্নান,রুহল আমিন,মান্নানের ছেলে মাসুম,মশিউরের
ছেলে নাহিদ ও নাসিম ও আজগার আলীর ছেলে লিয়াকত আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে আমার মাথায় কোপ দিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
এই সময় আমাকে ঠেকাইতে গিয়ে আকুব্বর ও তার ছেলে সিদরাতুল মুন্তাজ ও জালাল উদ্দিনও তাহাদের হামলা শিকার হয়। এদের জালালের অবস্থা খারাপ।
তিনি মারাত্মক আহত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তারা আমার বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ও উঠানে থাকা পাওয়ার টিলার ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
আমরা লোকজনের সহযোগীতায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মঈনুল হোসেন বলেন,ঘটনাটি উভয়পক্ষের মধ্যে জমি জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে।
দু’পক্ষের আহতরা জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় মামলা করেছে বলে জেনেছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস,ঘটনা শোনা মাত্রই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।