জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের খয়েরহুদার
মেম্বার স্বপ্না খাতুনের ও হায়াত আলী দম্পত্তি সন্তান শাহন
পরান(২১) তাদের দাম্পত্য জীবনের কলহের জের ধরে অভিমান করে কীটনাশক(ঘাষপোড়া) পানের
একদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যায়। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা রিফুজিপাড়ার কাঠ ব্যবসায়ী হায়াত আলী ও কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার স্বপ্না
খাতুনের ছেলে শাহ পরানকে অনুমান এক দেড় বছর আগে বিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনে নানা বিষয় নিয়ে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
কয়েক মাস আগে শাহ পরান তার স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মায়ের বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পরে আবার ফিরে আসে।
এ অবস্থায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে বাড়ীতে অবস্থান করা কালে গোপনে কীটনাশক
(ঘাসপোড়া)পান করে সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডে তাহার দুলা ভাইয়ের গ্যারেজে চলে যায়।
সেখান থেকে তার বোনকে ফোন করে জানায় ’তোরা আমাকে মাফ করে দিস,আমি বিষ খেয়েছি’।
এ সময় বিষয়টি সকলের মধ্যে জানাজানি হলে,পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
কিন্তু সেখানে তার অবস্থান উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক তাকে যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসার ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীকে শাহ পরানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কিন্তু সেখানেও তাকে সুস্থ্ করা সম্ভব না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় রাত ৮ টার দিকে পথিমধ্যে মারা
যায়। শুক্রবার বাদ যোহর তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
কেডিকে ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্বাস উদ্দিন বলেন,আমি যতটুকু জানতে পেরেছি। নিহত শাহ-পরান বিয়ে সাদী করলেও কাজকর্ম তেমন একটা করতো না।
তা নিয়ে পরিবারে বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় বুধবার সকালের দিকে বাড়ীর সকলের অজান্তে শাহ পরান বিষপান করে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যায়। শুক্রবার দুপুরের দিকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ/আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।