আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এ বাংলার জমিন এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের নামে ওয়ারেশগনের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এর লক্ষীকুন্ডু গ্রামের মৃত বিশারত আলী খানের ৩ ছেলে ৩ মেয়ে ৬ সন্তানের মধ্যে মশিউল আযম ছোট।
সব ভাই বোনের ছোট হওয়ায় বেশ আদর করতেন সকলেই। লেখা পড়া নিজেরা না করলেও ছোট ভাই কে করিয়েছেন উচ্চ শিক্ষিত।
শহরের জীবনে তার বেড়ে উঠা।শিক্ষিত সুমিষ্ট ভাষী হওয়ায় সব ভাই বোনের ছোট সেহেতু সকল ভাই বোনের আদরও ছিল তার প্রতি।
মশিউল আযম ভাই বোনদের একটি ফার্ম করার কথা বলে নিজে সহ সকলে মিলে বাংলার জমিন এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের নামে ৩৬ নম্বর জয়দিয়া লক্ষীকুন্ডু
মৌজার অধীনে আর এস ৭১৮ ও ১০১৪ নং আর এস চুড়ান্ত ২১৮৯ নং দাগের ১৩০ শতক ২৮৩৪ দাগে ২৮ শতক,২৮৬৭ দাগে ৫৫ শতক সর্বমোট
২১৩ শতক পিতা মৃত বিশারত আলী খানের ওয়ারেশ সুত্রে জমি সব ভাই বোনের থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে নেয় । ছোট ভাই হিসেবে সকলেই সরল বিশ্বাসে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়ার কয়েক বছর পর বলে জমি আমার।
তোমরা জমি ছেড়ে দাও জমি রেজিষ্ট্রেশন আমার বাংলার জমিন এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের নামে আর আমি এই কোম্পানির এমডি।
সকলে হতবাক রেজিস্ট্রেন পরবর্তীতে ৬/২/১৩ ইং তারিখের ৪১৫ নং কবলা দলিলে রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়া।জমির উপর বসত ঘর বাড়ি তুমি এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের নামে টিপসই নিয়ে কিসের জমি রেজিষ্ট্রেশন করার কথা বলে জমি ছাড়তে বলছো।
সরল বিশ্বাসে প্রতারণা আশ্রয় নেওয়াই ছোট প্রতারক বাংলার জমিন এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি পরিচয় বহন করা ভাই মশিউল আযম এর নামে ঝিনাইদহ জেলা বিজ্ঞ আদালতে সকল ওয়ারেশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নম্বর, ৬৮/১৩ তারিখ ১৭/১১/১৩। এরপর প্রতারক ভাই নিজে বাঁচতে নিজের নাম জুড়ে ওয়ারেশদের নামে ভুয়া বাদী সাজিয়ে ১১/৪৫২ মামলা দায়ের করে চেক সহ চুরি।
এবিষয়ে মশিউল আযম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোম্পানির মালিক সেহেতু জমির মালিক আমি।
সকল শরিকদের জমি আমি টাকা ও শাড়ি লুঙ্গি দিয়ে ক্রয় করে নিয়েছি।
আমার ক্রয় করা জমি তারা সবাই ভোগ করছে আমি তাতেও কিছু মনে করিনি তারা আমার ইট বালি সহ বিক্রি করে নিয়েছে। আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে কিন্তু আমার সততার কারনে কিছু হয়নি।