আবু সাইদ শওকত আলী, ঝিনাইদহ:-
দলিল প্রতি অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সাব-রেজিস্ট্রার জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
বুধবার এমন অভিযোগে রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা সাব-রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
পরে বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে পুলিশ পাহারায় জমি রেজিস্ট্রি কাজ শুরু হয়।
কোটচাঁদপুরের সাব-রেজিস্ট্রার তামিম আহমেদ চৌধুরী গত ২৬/০৫/২০২৪ তারিখে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, এই সাব-রেজিস্ট্রার যোগদান করার পর থেকেই দলিল প্রতি মোটা অংকের অতিরিক্ত টাকা না দিলে তিনি জমি রেজিস্ট্রি করেন না।
বিষয়টি নিয়ে দলিল লেখক ও ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বুধবার উপজেলার তালিনা গ্রামের আজহার আলী এসেছিলেন জমি রেজিস্ট্রি করতে।
তিনি বলেন, বেলা এখন দুপুর তিনটা বাজে। জমি রেজিস্ট্রির জন্য লেখালেখি অনেক আগেই শেষ। অথচ অতিরিক্ত টাকা না দিলে সাব-রেজিস্ট্রার জমি রেজিস্ট্রি করবেন না। এখনো পর্যন্ত একটিও জমি রেজিস্ট্রি হয়নি।
কাগজপত্র সব থাকার পরও সাব-রেজিস্ট্রারকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।
যে কারণে আমরা অতিষ্ঠ হয়েই আজ ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্ট্রার দুর্নীতিবাজ তামিম আহমেদচৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছি।
অতিরিক্ত টাকা কেন নেন এর জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না। জগন্নাথপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে আমি কয়েকটি জমি রেজিস্ট্রি করেছি।
আমার কাছ থেকেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। রেজিষ্ট্রির স্বার্থে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে সাব-রেজিষ্ট্রারকে।
এ সময় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে কোটচাঁদপুর নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ও দলিল লেখকদের মধ্যস্থতায় বিকাল ৪টার পর থেকে দলিল রেজিস্ট্রি কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদ-এর সাথে কথা বললে, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের বক্তব্য নিতে কয়েকবার মোবাইল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সাব-রেজিষ্ট্রার তামিম আহমেদ চৌধুরী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নয়। এর বেশী কিছু বলতে রাজী হননি।
কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন- ইউএনও মহদয় পুলিশ চেয়ে ছিলেন আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি ঝিনাইদহে আছি এর বাইরে আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বদর উদ্দিন বলেন, ঝামেলা একটু হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। চারটার পর থেকে জমি রেজিস্ট্রির কাজ শুরু হয়েছে।