জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহাপুর-সাবদারপুর সরকারী রাস্তার গাছ চুরি করে কেটে বিক্রির
অপরাধে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হোসেন আলীসহ তিনজনকে রোববার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।এদিকে ঘটনার জের ধরে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী সাংবাদিকের নিকট ক্ষমা চেয়ে মাফ পেয়েছেন।
জানা গেছে,জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হোসেন আলী উপজেলার একই ইউনিয়নের শাহাপুর-সাবদারপুর সরকারী রাস্তার সামাজিক বনায়নের ১৪-১৫ বছর বয়সের তিন কড়ুই চটকা গাছ বিক্রি করে দেয়।
উক্ত গাছের ক্রেতা উপজেলার পাকা গ্রামের কাঁঠ ব্যবসায়ী আবু তালেব ও একই গ্রামের কাঠ কাটা শ্রমিক মোতালেব হোসেন শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার জনতার বাঁধা মুখে পড়েন।
এসময় কাঠ ব্যবসায়ী আবু তালেব বিএনপি হোসেন আলীকে বিষয়টি জানালে হোসেন আলী
সেখানে পৌছান এবং উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়েন। ঘটনার এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাদের
তিনজনকে ধরে শাহাপুর ফাঁড়ি পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
অন্যদিকে কাঠগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ঘটনার ভিডিও ধারণকারী স্থানীয় সাংবদিক রানা মাহমুদকে
ভিডিও সোস্যাল মিডিয় প্রকাশ করার অপরাধে তাকে বিএনপির সমর্থিত ৪-৫ জন যুবক তার ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক রানা মাহমুদ বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমি স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তি করে নেয়ায় আর মামলা মোকদ্দমার দিকে যায়নি। হামলাকারীরা সকলেই ঘটনার ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করে অনুশোচনা করেছেন।
এদিকে বিএনপি নেতা হোসেন আলীকে দলীয় শৃঙ্খলা ভংগের দায়ে তাকে থানা বিএনপির পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহাপুর-সাবদারপুর সড়কের গাছ কেটে বিক্রির ঘটনায় থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। সেই মামলায় হোসেন আলীসহ তিনজনকে আটক করে
জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।