গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-
সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে রাজধানীর বাজারে ভোজ্যতেল সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেল সহজে পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। অনেক জায়গায় খুচরা বিক্রেতারা অন্যান্য পণ্য কিনলেই সয়াবিন তেল দিচ্ছেন, যা সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এই সংকটের দ্রুত সমাধান হতে যাচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং দামও নিম্নমুখী হবে।
সরকারের নজরদারি ও আশার কথা
বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,
“এই মুহূর্তে যদি বাজার পর্যবেক্ষণ করেন, দেখবেন রমজানের প্রায় সব পণ্য— খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনি— সহজলভ্য। কেবলমাত্র ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে আশা করছি, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এই সংকট কেটে যাবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে।”
সংকটের কারণ ও সমাধানের পদক্ষেপ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক বাজারেও কিছুটা অস্থিরতা থাকায় আমদানিকারকরা কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন। তবে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
সরকারের তদারকি এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ নীতির ফলে খুব শিগগিরই সাধারণ ভোক্তারা স্বস্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাজার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।
ভোক্তাদের জন্য পরামর্শ
এ অবস্থায় ভোক্তাদের আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত তেল কেনার প্রয়োজন নেই। বাজার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই সচেতনতার সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভোজ্যতেলের বাজারে স্বস্তি ফিরবে এবং ভোক্তাদের ভোগান্তি কমে আসবে।