হরিণাকুন্ডুতে ঘরের আড়ায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ, স্ত্রী বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার শড়াতলা গ্রামে রানা মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ ঘরের আড়ায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রানা মন্ডল ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন,

পারিবারিক কলহের জেরে শম্পা খাতুন তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পরে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।

পরিবারের অভিযোগ

রানার মা পারভিনা খাতুন জানান,গত কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূ শম্পার সঙ্গে তার ছেলের মনোমালিন্য চলছিল।

রানার বাবা মাঈনুদ্দিন মন্ডলও একই অভিযোগ করেন।

তাদের দাবি, স্ত্রী-সংসারে অশান্তির কারণে ছেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। ঘটনার দিন দুপুরের আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, এরপর রানাকে ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় শম্পা হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে।

প্রতিবেশীদের বক্তব্য

স্থানীয় বাসিন্দা সদর মন্ডল বলেন, রানা ভালো ছেলে ছিল। এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাত এবং কৃষিকাজ করত।

তবে স্ত্রীর সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।

ফলে অনেকেই ধারণা করছেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

স্ত্রীর দাবি

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানার স্ত্রী শম্পা খাতুন।

তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। পরে খবর পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন, স্বামীর মরদেহ আড়ায় ঝুলছে।

পুলিশের বক্তব্য

হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।

প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তদন্ত ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *