জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পরপর দুটি ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্বৃত্তরা চাঁদার দাবিতে ড্রাগন ফলের গাছ কেটে ফেলেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার দেহাটি আমিনিয়া মাদ্রাসা থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে কয়া উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মো. মিলন হোসেন (৩৪) জানান, তার তিন বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে।
প্রতিদিনের মতো ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাগানে গেলে তিনি দেখতে পান, এক সারির ৬৪টি ড্রাগন গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।
হতবাক হয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার সময় তিনি একটি পলিথিনে মোড়ানো কাগজ পান।
ওই কাগজে লেখা ছিল, দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে পুরো বাগানের গাছ কেটে ফেলা হবে
এবং তার বৈদ্যুতিক মোটরসহ কৃষি সরঞ্জাম নষ্ট করা হবে।
এছাড়া তার স্কুলপড়ুয়া শিশু কন্যাকে হত্যা করার হুমকিও দেয়া হয়।
এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন। তার ধারণা,একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে এই নৃশংস কাজ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী মিলন হোসেন বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কি কারণে দূর্বৃত্তরা গাছগুলো কেটেছেন তা আমার জানা নেই।
এদিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব সরকারের ছেলে লুৎফর রহমান বলেন,
রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আমার নীল রংয়ের এ্যাপাসি আরটিআর-১৬০ সিসি ডাবল ডিস্ক মোটর সাইকেলটি দেহাটি নিকারী পাড়া আমিনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার
সামনে রেখে দিয়ে মাদ্রাসার কাজ করতে থাকি। কাজ শেষে কয়েক মিনিটের মাথায় দেখতে পাই মোটর সাইকেলটি নেই।
চুরির পর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও মোটরসাইকেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় সিসি
ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল চালিয়ে সন্তোষপুর সড়কের দিকে চলে যাচ্ছে। ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা চোরচক্রের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জীবননগর উপজেলায় সম্প্রতি একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে, যা স্থানীয়দের আতঙ্কে ফেলেছে।
বিশেষ করে চাঁদার দাবিতে ফসল ধ্বংস ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। যাতে চোর ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়।