আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
বাংলার লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীদের শিল্প নৈপুণ্যের এক অনন্য ধারক হলো পিঠা।
বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এই পিঠা উৎসব,
যা শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে প্রাণ পায়।
এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা ১৩টি স্টল সাজিয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারি ও সুস্বাদু পিঠার প্রদর্শনী করেন।
হরেক রকমের মুখরোচক পিঠার স্বাদ নিতে ভোজনরসিকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পিঠার স্বাদ ও পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা আয়োজকদের প্রশংসায় ভাসান।
আয়োজকরা জানান, প্রতি বছরই এমন উৎসব আয়োজন করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম বাংলার লোকজ ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
এছাড়া সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান শেখর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক মহব্বত আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নজরুল ইসলাম,
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আব্দুর রাকিবসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা তৈরি করবে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে আরও বিকশিত করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।