জীবননগর বাঁকায়  দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই নগদ টাকাসহ  স্বর্ণালংকার লুট

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা বাজারপাড়ায় ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা বসত ঘরের নগদ-টাকা পয়সা ও মালামাল
চুরি ও লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়।

ফলে ঘর ও দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। রক্ষা পায়নি ঘরে থাকা কোরআন শরিফ ও ছেলে-মেয়ের লেখাপাড়া করার বইপত্র।

ধারণা ঘটনাটি শনিবার রাত ১১ টা থেকে সাড়ে ১১ টার  দিকে  সংঘটিত  হয়েছে। ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী রিয়া  খাতুন(৩৫)বলেন,

ঘটনার সময়  আমার স্বামী সেলিম উদ্দিন কক্সবাজারে পিকনিকে ছিলেন এবং তিনি নিজে মায়ের অসুস্থতার কারণে চুয়াডাঙ্গার হিজড়গাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাড়ির ছাদে ওঠে সিঁড়ি ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা, ৭ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন লুট করে।

এরপর বসতঘর ও সংলগ্ন মুদিখানা দোকানের সমস্ত মালামাল এবং ব্যবহৃত বেশ কিছু আসবাবপত্র,কাপড়

চোপড় ইত্যাদি ঘরের ভিতরে এক স্থানে স্তুপ করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আমাদের পরণে থাকা কাপড় চোপড় ছাড়া বাড়ী ঘরে থাকা সব কিছুই আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে।

আমার ধারণা,পুর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

প্রতিবেশীরা বলেন,  ধোঁয়া দেখে দ্রুত জীবননগর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে রাত  ১২ টার  দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
আনলেও ততক্ষণে সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার তরিকুল ইসলাম বলেন,বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে টাকা পয়সা লুটের পর পরিবার নি:স্ব করতে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। 

আমাদের এলাকায় অনেক আগুন দিয়ে দূর্বৃত্তায়নের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এমন বর্বরতা আগে কখনও দেখিনি। পরিবারটি একেবারে শেষ হয়ে গেল। এটা একটি পুর্বপরিকল্পিত ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বলেন,ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে অফিসার ফোর্স পাঠানো হয়।

ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *