রিমন হোসেন,মহেশপুর প্রতিনিধি:-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক,প্রেসক্লাব মহেশপুরের সাধারণ সম্পাদক
ও বাংলাটিভির প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
তিনি বলেন, “আমি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই করতে গিয়ে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আমার বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি একবার পুলিশ আমাকে গুমের উদ্দেশ্যে আটক করেছিল।
তবে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকদের সহায়তা এবং আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মহেশপুরে কখনো কোনো অন্যায়,
জুলুম বা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। বরং বরাবরই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি।
আমার জনপ্রিয়তার কারণে অনেকেই আজ আমার বিরোধিতায় নেমেছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশেষ করে দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ
ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত খবরে তাকে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মিঠু মালিথার ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, “মিঠু মালিথার সঙ্গে আমার শুধুমাত্র পেশাগত সম্পর্ক রয়েছে, বাইরে কিছু নেই।
সে কোথাও পালিয়ে যায়নি, বরং সে নিজ গ্রামেই অবস্থান করছে।
একটি বিশেষ মহল আমার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্মানহানির উদ্দেশ্যে এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ করবো, প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন।”
এদিকে, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমি কোথাও পালিয়ে যাইনি।
আমি আমার গ্রামের বাড়িতেই আছি।” তিনি তার বাড়িতে থাকার যথাযথ প্রমাণও উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।