কোটচাঁদপুর সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম থামছে না, ঘুষ বিহীন জমি রেজিস্ট্রিতে ভোগান্তি

আবু সাইদ শওকত আলী,নিজেস্ব প্রতিবেদক,ঝিনাইদহ:-

নিয়ম বহিরভূত অতিরিক্ত  টাকা  চাওয়া  কোটচাঁদপুরের সেই সাব-রেজিস্ট্রার রয়েছে বহাল তবিয়্যতে।জমি রেজিষ্ট্রি করছেন আগের নিয়মেই। বাস্তবায়ন হয়নি জেলা রেজিস্টারের আশ্বাসের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুর সাব-রেজিস্টার অফিসে সপ্তাহে দুই দিন জমি রেজিস্ট্রি করা হয়।

এ অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি করেন সাব-রেজিস্টার তামিম আহম্মেদ চৌধুরী।

এ কর্মকর্তা যোগদানের আগে প্রত্যয়ন বাবদ ৩/৪ হাজার টাকা,মসজিদের নামে ১-৫ শ টাকা নেয়া হত।
এছাড়া ওয়ারিশ জমির দলিলে নিতেন ৪-৬ হাজার টাকা করে।

এরপর সাব-রেজিস্টার তামিম আহম্মেদ চৌধুরী যোগদান করে আগের নিয়মে কিছু দিন জমি রেজিষ্ট্রি করছিলেন। পরে ওই টাকার পরিমান আরও বাড়াতে(৫ ফেব্রুয়ারি) বুধবার সকালে দলিল লেখকদের ডাকেন তাঁর খাস কামরায়।

এরপর তিনি প্রত্যয়ন বাবদ ১০ হাজার টাকা,ওয়ারিশের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেযার কথা বলেন দলিল লেখকদের । এ ছাড়া অন্যান্য লেনদেন নিয়ে ও আলোচনা হয় ওই লেখকদের সঙ্গে।
এতে বিপত্তি জানান দলিল লেখকরা। অপরাগতা প্রকাশ করেন ওই পরিমান টাকা দিতে। বন্ধ করে দেন দলিল লেখা। এরপর শুরু হয় জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ। পরে তা সামাল দিতে সবাই শরনাপন্ন হন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের।

তিনি মিমাংসা করে দেয়ার পর ওইদিন বিকেলে জমি রেজিষ্ট্রি শুরু হয়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে পরের সপ্তাহে কোটচাঁদপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসেন জেলা রেজিস্ট্রার (ডিআর) সাব্বির আহম্মেদ।
ওইদিনও অফিসের কার্যক্রম দেখতে যান স্থানীয় সমন্বয়ক, গনমাধ্যম কর্মী ও ভূক্তভোগীরা। প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। ওই সময় জেলা রেজিস্টার বলেন,একটা ঘটনা ঘটেছিল, সেটা জানতে পেরে তা স্বরজমিনে দেখতে এসেছিলাম।

তিনি বলেন,আগে যা ঘটার সেটা গেছে। তবে সামনের দিনে আর যাতে কোন ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটা তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এরপর পার হয়ে গেছে বেশ কযেক সপ্তাহ। রেজিস্ট্রি হচ্ছে আগের নিয়মেই। দেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি নিয়ম বহির্ভূত বেশি টাকা চাওয়া সেই সাব-রেজিস্টার তামিম আহম্মেদ চৌধুরী ও ওই অফিসের বড় বাবু আবদুল মালেক ও ওই অফিসের টোটন নামের আরেক জনের বিরুদ্ধেও।

তারা মূলতঃ এ সব টাকা লেনদেন করেন বলে একাধিক অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া লাগানো হয়নি অফিসের সামনে জমি রেজিষ্ট্রির মূল্য তালিকা। লাগানো হয়নি সাব-রেজিস্ট্রারের খাস কামরায় সিসি ক্যামেরা। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জেলা রেজিস্টার সাব্বির আহম্মেদের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তবে কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবরেজিস্টার তামিম আহম্মেদ চৌধুরী সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ঘটনাটি তাদের, আপনারা ওনার সঙ্গেই কথা বলেন। এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নাই। আর কোন মন্তব্য করতেও চাই না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *