জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ৫৮ ব্যাটালিয়নের ধারাবাহিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, ভারতীয় ওষুধ ও চোরাচালান সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
বিজিবি সদস্যরা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ও শনিবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
একই দিন মহেশপুর উপজেলার মাটিলা বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫০ পিস
রুটিনিব ক্রিম এবং ২৫ বক্স কান্সারের ওষুধ অসিমার্ট ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।
বৃহস্পতিবার খোশালপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ পথে ভারতে অনুপ্রবেশ কালে দু’জন বাংলাদেশী
নাগরিককে আটক করেন।
আটককৃতরা হচ্ছে- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামের সুজন শেখ(২৮) ও কালিয়া উপজেলার টোনা গ্রামের ইরান সরদার(৩৮),
শুক্রবার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে অবৈধ সীমান্ত পথ অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ কালে দু’জনকে আটক করেন। আটককৃতরা হচ্ছে- খুলনা দৌলতপুর উপজেলার মিলন মোল্যা(৩১) ও কুমিল্লা তিতাস উপজেলার সেলিম উদ্দিন(৪১)।
একই দিন কুসুমপুর বিওপি এলাকায় নিয়মিত টহল চলা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টা কালে ৪ জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হচ্ছে-কুমিল্লার তিতাস উপজেলার হযরত আলী(৪২),খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কামাল শেখ(২৫) এবং অন্য দু’জন নারী হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে জীবননগর উপজেলার রাজাপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে আমদানিকৃত দুই কেজি গাঁজা আটক করেন।
তবে এ সব ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। একই দিন ভোর রাতে মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর এলাকায়
অভিযান চালিয়ে ৩৫ পিস ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং ৬৬৮ পিস সিলডেনাফিল ট্যাবলেট আটক করেন।
আটককৃতদেরকে মহেশপুরও জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন,
সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সীমান্ত অঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে, যাতে অবৈধ কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা যায়।