আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বাজার পাড়ায় ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম রেজা ও শামীম রেজার বিরুদ্ধে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করে তারা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা বিপাকে ফেলেছে ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামকে।
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিরোধের পেছনের ঘটনা
শফিকুল ইসলাম বাজার পাড়ার মৃত আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে, আর মাসুম রেজা ও শামীম রেজা একই এলাকার মৃত গোলাম হোসেন মোল্লার ছেলে।
সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বাজার পাড়ার আরএস ১৩১৯ নম্বর খতিয়ানের জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
শফিকুল ইসলামের দাবি, জমিটি নিয়ে বহুবার স্থানীয়ভাবে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ তা কার্যকর করে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মাসুম রেজা ও শামীম রেজা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ
শফিকুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্তদের বক্তব্য“আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও তারা জমিতে ভবন নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
অভিযুক্ত মাসুম রেজা বলেন,“আমি ১৪৪ ধারার বিষয়টি জানি, কিন্তু যেই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেটি আমার নয়, শফিকুল ইসলামের জমি।আমি আমার নিজের ১৭ শতক জমির ওপর নির্মাণকাজ চালাচ্ছি।
আদালতের আদেশ যেহেতু অন্য একটি জমির ওপর, তাই আমার কাজ চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই।”
তিনি আরও জানান,“আদালত থেকে যদি ১৮৮ ধারা জারি হয়ে থাকে, তাহলে সেটি আমার জানা নেই। আগামী মাসে মামলার শুনানির দিন রয়েছে, আমি সেখানেই আমার জবাব দেব।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,“আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে তা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ সরাসরি নির্মাণকাজ বন্ধ করতে পারে না। যদি কেউ আদালতের আদেশ অমান্য করে, তাহলে তদন্ত করে বিষয়টি আদালতে জানানো হবে এবং আদালতই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।”
সুষ্ঠু সমাধানের দাবি
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জমির মালিকানা ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে স্পষ্টতা আনার জন্য দ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন।
অন্যথায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।