নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পুলতাডাঙ্গা গ্ৰামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাচা ইমরান খন্দকারের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়।
কিন্ত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারের কারণে ভাইরাল হলে জানা জানি হয়ে যায় সব।
এঘটনায় ৫ বছরের শিশু ফারিয়ার মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত ২৮ ফেব্রুয়ারী আমার পাঁচ বছরের শিশু ফারিয়াকে কৌশলে বাড়ির পাশে মাঠে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায় ইমরান।
সেখানে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত ও ধর্ষণ করে। এরপর ভয়ভীতি এবং মিষ্টির লোভ দেখিয়ে এই কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে মেয়েকে।
ফারিয়া বাড়িতে আসে এবং কাউকে কিছু বলে না।তারপরে রাত্রে যখন মেয়ে তার শারীরিক যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, কি হচ্ছে মা?
তখন ফারিয়া আমার কাছে কান্না করে সব কিছু বলে দেয়। পরদিন আমি যখন ইমরানের পরিবারের কাছে জানায় তখন ইমরানের বড় ভাই ইসমাইল আমাকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করে বলে কাউকে কিছু বলো না বললে সমস্যা আছে।
চলো ফারিয়াকে আমরা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। মেয়েকে স্থানীয় ডাঃ রবিউল হাসানের কাছে গেলে তিনি বলেন, এটা হাসপাতালে চিকিৎসা করান আমি পারবো না।
এরপর শিশুটির মা ও অভিযুক্ত ইমরানের ভাই ইসমাইল ফারিয়াকে সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিক নিউ রেসিডো হাসপাতালের মালিক পল্লী চিকিৎসক কুসুমের নিকট নিয়ে যায়।
সেখানে পল্লী চিকিৎসক কুসুম এন্টিবায়োটিক সহ বেশ কয়েক প্রকার ঔষধ দেয় চিকিৎসার জন্য।
সেখান থেকে ইসমাইল ও শিশুটির মা তাকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসে।
মেয়েটির চিকিৎসার জন্য পল্লী চিকিৎসক কুসুসকে ১ হাজার টাকা দেয় অভিযুক্ত ইমরানের ভাই ইসমাইল।
পল্লী চিকিৎসক কুসুমের দেওয়া চিকিৎসা পত্র ইসমাইল নিজ কাছে রেখে দেয় ও কিছু ঔষধ কিনে দেয়।
এ ব্যাপারে ইসমাইল কে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি,মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে পল্লী চিকিৎসক কুসুমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে আমার কাছে
আসে শিশু ফারিয়ার চিকিৎসার জন্য এবং বলে যে,ফারিয়া পড়ে গিয়ে তার যৌনিপথে আঘাত লেগেছে,
তাই আমি কয়েকটা ঔষধ তাকে দিয়েছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ায় নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ খান রাতেই ঘটনা স্থলে তদন্তে যান।
সেখানে ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবারের কাছে জেনে ঘটনার সত্যতা পান।পুলিশ আসার কথা শুনেই ধর্ষক ইমরান আগেই পালিয়ে যান।
এঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি মামলা করেন,
যাহার মামলা নাম্বার হলো ১০/২৫ জি -আর।
এদিকে অভিযুক্ত আসামি ইমরান খন্দকারের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানান, হরিনাকুন্ডু থানা পুলিশ।