বরগুনায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ধ’র্ষ’ণের মামলা: রেহাই পেতে বাদী পিতাকে শ্বাসরোধে হত্যা!

গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-

বরগুনায় মর্মান্তিক এক ঘটনার শিকার হয়েছে এক দরিদ্র পরিবার। সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণের অভিযোগে মামলা করেছিলেন তার বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তি সৃজীব চন্দ্র রায়কে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।

কিন্তু ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করা সেই বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে!

ন্যায়বিচারের পথেই মৃত্যুর ফাঁদ

গত ৫ মার্চ, নিজের মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন মন্টু চন্দ্র দাস। তিনি পেশায় একজন মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিলেন—অত্যন্ত সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। কিন্তু এই মামলাই যেন তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়।

এক সপ্তাহ পার না হতেই, নিজ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হয় মন্টু চন্দ্র দাসের নিথর দেহ। শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে।

তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, ধ’র্ষ’ণ মামলার আসামি সৃজীব চন্দ্র রায়ের স্বজন ও সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যেন মামলাটি ধামাচাপা পড়ে যায়।

একটি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে

মন্টু চন্দ্র দাস ছিলেন পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাকে হত্যা করার পর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।

তার স্ত্রী আশঙ্কা করছেন, যারা তার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে,

তারা যে বাকি পরিবারকে ক্ষতি করবে না, সেই নিশ্চয়তা কোথায়?

এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছে এলাকাবাসী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

মানুষ যেভাবে আছিয়া হত্যার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো উচিত।

এক বাবা তার মেয়ের জন্য সুবিচার চাইতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে দিলেন—এবং এখন তার পরিবারও হুমকির মুখে।

এই ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে আর কোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের ন্যায়বিচার চাওয়ার অপরাধে প্রাণ না হারান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *