বিশেষ প্রতিনিধি:-
“শুরু হোক গর্জন, রুখতে হবে ধর্ষণ”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, আলমডাঙ্গা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৪টায় আলমডাঙ্গা হাইরোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি আল-আমিন হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মানোয়ার মাস্টার, সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম,
প্রশিক্ষণ বিষয়ক সচিব হারুন-অর-রশীদ, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব সুরভী খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস ঊষা, মাদক নিরাময় বিষয়ক সচিব সাদ্দাম হোসেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডা. লিয়াকত আলী এবং বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি রেদোয়ান।
আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি লাল্টু মল্লিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুছ আলী মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারাফাত রাসেল,
সহ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাকিব রনি,
সাংগঠনিক সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ক সচিব অ্যাডভোকেট ইকরামুল হক, অর্থ সচিব রফিকুল ইসলাম,
দপ্তর সচিব সাইদুল ইসলাম, গণসংখ্যা বিষয়ক সচিব ইউনুস মাস্টার, যুব সচিব ডন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শরীয়ত উল্লাহ আলিফ, মাদক নিরাময় সচিব সালাউদ্দিন মুক্তার, সমাজকল্যাণ সচিব হুমায়ুন কবির, মিনারুল, মামুন, নাহিদসহ অনেকে।
এছাড়া, মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ছাত্র প্রতিনিধি মিলন, রাকিব মাহমুদ, সাদী, রজনী, সাকিব এবং নারী উদ্যোক্তা হেলেনা আক্তার কামনা।
বক্তব্য ও দাবি
বক্তারা বলেন, “ধর্ষকের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না!” তারা মাগুরায় সংঘটিত বোন আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আলমডাঙ্গায় সংঘটিত ধর্ষণের অধিকাংশ মামলায় ভুক্তভোগীরা সঠিক বিচার পায়নি।
থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
বক্তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং অপরাধ দমনে কঠোর আইন প্রয়োগের আহ্বান জানান।
তাদের দাবি, ধর্ষণের বিচার দ্রুত কার্যকর করা হলে সমাজ থেকে এই ভয়ংকর অপরাধ নির্মূল হবে।
সর্বশেষ আহ্বান
এই মানববন্ধনের মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্থার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তারা সরকারের কাছে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা আর না ঘটে।