জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শিক্ষাবৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধী চক্র।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শাপলাকলি পাড়ার
বাসিন্দা ও একটি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান (৫১) প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকাল ৩:১৯ মিনিটের সময় একটি অজ্ঞাত নম্বর (০১৩২৮-৫১৬৯৩২) থেকে তার মোবাইলে ফোন আসে।
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে একজন নিজেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জানান, তার কন্যা আনিসা বিনতে আসাদ শিক্ষাবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হবে।
প্রতারক চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আনিসার নাম, স্কুলের নামসহ ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুল ভাবে বলায় শিক্ষক আসাদুজ্জামান তাদের কথায় বিশ্বাস করে
ফেলেন।
এরপর প্রতারকরা বৃত্তির টাকা পাঠানোর জন্য তার ব্র্যাক ব্যাংক, জীবননগর শাখার অ্যাকাউন্ট নম্বর (১২০২১০৪০২৩৫৫১০০১)এবং এটিএম কার্ডের নম্বর (৪৩২১৪৯০০১৫৬৬২৭৫৯) চান। সরল বিশ্বাসে তিনি এসব তথ্য প্রদান করেন।
কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে একটি ওটিপি (OTP) কোড আসে। যা প্রতারক চক্রের সদস্যরা চেয়ে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি দেখতে পান,একের পর এক লেনদেনের মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন, তবে ততক্ষণে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।
প্রতারণার শিকার স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অচেনা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ব্যাংক তথ্য এবং ওটিপি শেয়ার করা যাবে না। শিক্ষা বৃত্তি,
পুরস্কার বা অন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ হলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতারক চক্র এখন আরও চতুর ও সুসংগঠিত হয়ে কাজ করছে। তাই, কারো ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই শেয়ার করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত
অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করার চেষ্টা
চলছে।