জীবননগর আশতলাপাড়া ছোট শিশুকে মারপিটের অভিযোগে সৃষ্ট মারামারীর ঘটনায় প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ী ফিরতে পারছে না একটি পরিবার

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পৌর শহরের আশতলাপাড়ায় একটি শিশু কর্তৃক ছাগল মারার ঘটনায় সেই শিশুকে মারপিট করেছে প্রতিপক্ষরা

এমন অভিযোগে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হলেও ঘটনার ১২ দিনেও বাড়ী ফিরতে পারেনি প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়া একটি পরিবার।

ভুক্তভোগী পরিবারটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জীবননগর পৌর শহরের আশতলাপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ধাবকের ছেলে শহিদুল ইসলাম বলেন,চলত বছরের গত ৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্রতিবেশী লিটনের শিশু ছেলে মুরসালিন আমাদের একটি ছাগলকে আঘাত করে।

সেই ঘটনায় আমি তাকে একটু বকাবকি করি এবং ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দিই।এতে আমার প্রতি লিটন হোসেন,রুবেল,জুবায়ের,জলিল

ও রাসেল আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

তাদের নারকীয় তান্ডবে আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ী ছাড়তে বাধ হয়েছি। আমি সেই থেকে আর তাদের ভয়ে বাড়ী ফিরতে পারছি না।

তারা প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে আমরা বাড়ীতে গেলেই আমার ও আমার ছেলের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলবে।

এলাকার নেতারা আমাকে বাড়ীতে ফিরে যেতে বললেও প্রতিপক্ষদের হুমকি ধামকীতে তারা আমাদেরকে তারা নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।

তারা এই ঘটনাকে পুঁজি করে আমাদেরকে আওয়ামীলীগ ট্যাগ লাগিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছে।

ঘটনার ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে কোন লোকজন নেই। ঘরের ভিতরে আসবাবপত্র ভাংচুর করা। তার বাড়ীটি বর্তমানে ফাঁকা ও ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে।

এ ব্যাপারে প্রতিবেশীদের দাবী সামাজিক মানুষ হিসাবে একটি ঘটনা ঘটতেই পারে,তাই বলে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে তার বাড়ীতে ঢুকতে না দেয়াটা অমানবিক ও বেআিইনি।

অভিযুক্ত জলিল উদ্দিন বলেন,আমরা তাকে(শহিদুল ধাবক) বাড়ীতে আসতে দিচ্ছি না কে বলেছে? তারা তো ইচ্ছা করে বাড়ী আসছে না। ঘটনা এখনও আপস হয়নি। বাবু খান আসলে তারপর আপস হবে।

জীবননগর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হযরত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে শান্তিপুর্ণ ভাবে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা করেছিলাম।

কিন্তু লিটন বসতে রাজি হয়নি। যে কারণে আপাতত: নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। লিটনদের দাবী বাবু খান এসে ঘটনা মিটিয়ে দিবেন।

তবে শহিদুল ধাবকদেরকে আমি বাড়ীতে ফিরে যেতে বলেছি। আমার বিশ্বাস বাড়ী ফিরে গেলে তাদের প্রতি কেউ হামলা  দেখানোর সাহস পাবে না। তা ছাড়া বিশৃঙ্খলা কারো কাম্য নয়।

সমাজে বসবাস করতে হলে ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে এবং তা আপস নিস্পত্তি হয়ে যাবে। তার জন্য কেউ বাড়ী ছাড়া হয়ে যাবে তার কারো প্রত্যাশা নয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

ঘটনার ব্যাপারটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আপস নিস্পত্তি করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে শহিদুল ধাবক প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ী ছাড়া হয়ে আছেন বিষয়টি আমার জানা নেই এবং লিখিত কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *