ঝিনাইদহ অফিস:
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বিএনপির দুইটি মনোনয়নপ্রত্যাশী পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার পাকেরহাট শাপলা চত্বরে একই সময়ে দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘোষণার ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
উত্তেজনা ও বৈঠক
জানা গেছে, ১৬ মার্চ রবিবার সকালে পাকেরহাট শাপলা চত্বরে বিএনপির একটি অংশ দলকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
একই স্থানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকরা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেন।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ উভয় পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। তবে উভয় পক্ষকে সংঘাত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইফতার মাহফিলে হামলা
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকদের অভিযোগ, ১৪ মার্চ চিরিরবন্দরের কারেঙ্গাতলীতে বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে
প্রতিপক্ষের হামলার ফলে ইফতার মাহফিল স্থগিত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
অপরদিকে, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ আহমেদ সেলিম বুলবুল জানান, রমজান মাসে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্নেল
(অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ইফতার মাহফিল আয়োজন করেন।
এতে করে উপজেলা বিএনপির মধ্যে বিভাজন তৈরি হয় বলে তার দাবি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজমুল হক জানান,
বেলা ১১টার দিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ এড়াতে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং অফিস ভাংচুরের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক চৌধুরী জানান, বিএনপিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে যে বিদ্বেষ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।