জীবননগর কয়ায়  স্বামীর টাকা,স্বর্ণালংকার নিয়ে দু’সন্তানসহ পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও  গৃহবধু

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে ফেলে দুই সন্তানসহ উধাও হয়েছেন এক নারী।

স্বামীর অভিযোগ, তিনি স্বামীর ঘর থেকে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়েও পালিয়েছেন।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া মাঠপাড়ার খেদের আলীর ছেলে  সম্রাট আলী (৩২) বলেন,অনুমা ১৪ বছর আগে তার তাহার সাথে বিয়ে হয় যাদবপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে সারজিনা খাতুন শেফালীর (২৫) ।

তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে সোহেল রানা (১০) ও আবিরহাসান(৫) দুই সন্তান রয়েছে।

তাদের সুখের দাম্পত্য জীবনের এক পর্যায়ে গৃহবধু সারজিনা একই গ্রামের  মাঝপাড়ার আবু কালামের ছেলে তেতুল হোসেনের (৩৫)  সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাদেরকে বারবার সতর্ক করি।

তবে তাদের সম্পর্ক গোপনে চলতে থাকে। দুই বছর আগে তারা আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেও,

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বামী বিষয়টি মেনে নেন। কিন্তু গৃহবধু সারজিনা স্বামীকে গোপন করে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক অব্যাহত রাখে।

এই অবস্থায় গত ১৪ মার্চ সকাল ৭টার দিকে স্বামী সম্রাট আলী ঢালাই কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন।

এই সুযোগে সারজিনা ও তেতুল পরস্পর যোগসাজশ করে সকাল ৯টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে নগদ দেড় লক্ষ  টাকা,৭০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও একটি ইনফিনিক্স মোবাইল ফোন নিয়ে দুই ছেলেসহ পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে আমি বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও সন্তানদের না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করিতে থাকি। একপর্যায়ে সারজিনার ভাই রুস্তম আলী জানান,

সারজিনা ও তেতুল বিয়ে করেছেন এবং আমাকে তালাক দিয়েছেন। তবে স্বামী সম্রাটের দাবী, তাকে কোনো
তালাকনামা দেয়া হয়নি। সারজিনার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (০১৯৬৭-৮৪২৪৯২) যোগাযোগের চেষ্টা করা
হলেও সে ফোন রিসিভ করছেন না বলে জানান ভুক্তভোগী স্বামী। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভুক্তভোগী স্বামী এখন স্ত্রী ও সন্তানদের ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি দু:খজনক। ঘটনার ব্যাপারটি শুনেছি। তবে কোনপক্ষই আমাদের কাছে আসেনি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *