আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক ঐতিহাসিক ইফতার মাহফিলে একসঙ্গে প্রায় ১২ হাজার রোজাদার অংশ নিয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াএবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে এই বিশাল আয়োজন সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কালীগঞ্জ শহরের সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এটি কালীগঞ্জে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজন,
যার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখা।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ,
উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম রবি,প্রভাষক আব্দুল মাজেদ,পৌর বিএনপি নেতা মুন্সি কামরুল ইসলাম,ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান বাবলু,সোহরাব হোসেন রাজু,
বাবুল আক্তার,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন,পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহজাহান আলী খোকন,
সাবেক পৌর কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান রনি,জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এশফাকুর রহমান শফিক,উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের হিরু,যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব
এছাড়াও ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, শ্রমিক দল এবং মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীরা এই বিশাল আয়োজনে অংশ নেন।
বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,
“দীর্ঘদিন পর এত বড় পরিসরে ইফতার আয়োজন করতে পেরেছি। প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন থেকে ইফতার মাহফিলে যোগ দেওয়া বিএনপিকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন,
“কালীগঞ্জের জনপ্রিয় নেতা হামিদুল ইসলাম হামিদের আহ্বানে আমরা এখানে এসেছি।
হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে একসঙ্গে ইফতার করতে পেরে মনে হয়েছে, এটি যেন বিএনপি পরিবারের এক বিশাল মিলনমেলা। আমরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছি।”
বিএনপির এই ঐতিহাসিক ইফতার মাহফিল কালীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নবজাগরণের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
নেতাকর্মীদের বিপুল সাড়া ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, দলীয় ঐক্য ও সংহতি আরও শক্তিশালী হয়েছে।