বিশেষ প্রতিবেদক,আবু সাইদ শওকত আলী:-
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল নিজেই আজ ফাঁদে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক হামলার শিকার হয়ে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা “আয়রন ড্রোন” সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।
মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ
বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ ইরান, মিশর, লেবানন, ইয়েমেন ও সিরিয়া—একাধিক মুসলিম দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
এমনকি সৌদি আরবও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই সম্মিলিত প্রতিরোধের ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে চাপে পড়েছে ইসরায়েল।
দেশটির রাজধানী তেল আবিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও বিমানবন্দর একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা
ইসরায়েলের সাবেক প্রধান বিচারপতি আহারন বারাক বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় হামলা চালানোর পর মুসলিম দেশগুলোর পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েল ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
” এর ফলে দেশটির সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
তবে জনগণের অসন্তোষ উপেক্ষা করেই নেতানিয়াহু হামলা অব্যাহত রেখেছেন। পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে তিনি গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু হুতিদের লাগাতার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে।
হুতিদের হামলায় নৌপথ বিপর্যস্ত
মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায়ও ইসরায়েলের অবস্থা সংকটপূর্ণ। হুতি যোদ্ধারা একের পর এক হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ও তাদের মিত্রদের জাহাজ ধ্বংস করছে।
এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন মিত্র দেশগুলোর নৌপরিবহন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনি একসময় ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছিলেন, এখন সেই সমর্থনের খেসারত দিতে হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোকে।
ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ
ইরানসহ মুসলিম বিশ্ব একযোগে ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা “বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে মুছে ফেলার” প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।
বিশ্ব রাজনীতির এই পালাবদলে ইসরায়েলের সামরিক শক্তি ও কৌশল কতটা কার্যকর তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে।
আয়রন ড্রোন ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার কারণে ইসরায়েল যে সামরিকভাবে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে, তা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে।