বিশেষ প্রতিবেদক,আবু সাইদ শওকত আলী:-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় একই দিনে তিনটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় পুরো উপজেলায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, আর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আড্ডায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, প্রথম সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় ঘাঘা তালশার গ্রামে। জমি-জমা সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খালেকের ওপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত
খালেককে তাৎক্ষণিকভাবে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে স্থানান্তর করা হয়।
একই দিনে দোড়া ইউনিয়নে টিসিবির মালামাল বিতরণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সেখানে মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
এ ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়ে জামায়াতে ইসলামীর রোকন হুমায়ূন কবির আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ,
তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। আজকের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আরও বেশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজনৈতিক বিভক্তি নিয়ে সাধারণ মানুষও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তবে এটি আরও বড় সহিংসতার রূপ নিতে পারে।
অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় জনগণ রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা আশা করছেন, সকল পক্ষ মিলে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি করবে,
যেখানে সহিংসতার পরিবর্তে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে।