কালীগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ, ওসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ তালাব হোসেন হত্যার বিচার ও আরও আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল বেদে পল্লী

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তালাব হোসেন হত্যার বিচার, প্রকৃত আসামিদের অন্তর্ভুক্তি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে কাশিপুর বেদে পল্লীর বাসিন্দারা।

রোববার সকাল ১১টার দিকে নিহত তালাব হোসেনের স্ত্রী জামেদা বেগম তিন শিশু সন্তানসহ প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু কালীগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে মামলায় আরও অভিযুক্ত অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

এ সময় অভিযোগ রয়েছে, ওসি শহিদুল ইসলাম নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অবমাননাকর আচরণ করেন এবং কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে।

প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকায় মহাসড়কে উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

ঘটনার সময় পুলিশের কোনো সদস্যকে সরেজমিনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তালাব হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। অভিযোগ রয়েছে, তাকে নির্মমভাবে পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে রুবেল হোসেনকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন জড়িত, যাদের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, মামলার মূল পরিকল্পনাকারী সেলিমকে বাদ দিয়ে একজনকে আসামি করেই দায় সারতে চাইছে পুলিশ।

মামলার বাদীর কাছ থেকে নাকি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ফিরোজ হোসেন ও সাইদুর রহমান জানান, নিহতের পরিবার থানায় গিয়ে বারবার দাবি জানিয়েছে প্রকৃত আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে।

পরে বিক্ষোভকারীরা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যান। দাবি অনুযায়ী, ওসির অপসারণ এবং মামলায় সংশ্লিষ্ট সকল আসামিকে অন্তর্ভুক্ত না করা হলে আবারও কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকি দেন তারা।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোফাজ্জেল হক বলেন, “মামলা হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

বেদে পল্লীর লোকজন মামলায় নতুন করে আসামি সংযোজনের দাবি জানাতে থানায় আসে এবং কিছুটা বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে তারা চলে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *