জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ মাঝপাড়ায় স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক মাথাভাঙ্গা’র প্রতিনিধি আল আমিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রীকে মারধর
এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আল আমিনের দুলা ভাই মহামিন আলী মিন্টু (৪২বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিবাদী মকলেচুর রহমান (৫৫), তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২), স্ত্রী নাসিমা খাতুন নাছি (৪৫)
এবং মেয়ে জিনিয়া খাতুন (২৫) পরিকল্পিত ভাবে লাঠিসোটা নিয়ে সাংবাদিক আল আমিনের
বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে।
ওই সময় তারা আল আমিনকে খুঁজে না পেয়ে তার
স্ত্রী উম্মে সালমার উপর হামলা চালায়। হামলায় উম্মে সালমা মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাকে স্থানীয় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা
হয়।
অভিযোগকারী মিন্টুর দাবী, হামলার সময় বিবাদীরা উম্মে সালমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে, তার পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
বিবাদী মকলেচুর রহমান উম্মে সালমার ডান চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন এবং নাছি নামে একজন মহিলা তার দুই আঙুলে কামড় দিয়ে আহত করেন।
পরে আল আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকেও মারধর করে আহত করা হয়।
এ সময় এলাকার বাসিন্দা আরজিনা বেগম, জুঁই বেগম ও জুলিয়া খাতুনসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি দেখেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় হাসাদহ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন বলেন,ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তির জন্য
সাংবাদিক আল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন পুলিশের ডাকে ক্যাম্পে আসলেও মকলেচুর রহমান
আসিনি। ফলে বিবাদটি নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার হাসাদহ ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রের বিক্রয় প্রতিনিধি হিাসবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পরিবারটির দাবী, বিবাদীরা আল আমিনের দুলা ভাই মহামিন আলী মিন্টুর জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং অভিযুক্তরা নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত মকলেচুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আসল ঘটনা হচ্ছে,আলামিনদের ছাগলে আমাদের জমির গাছপালা তছরুপ করার ঘটনায় প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে আল আমিন,তার স্ত্রী সালমা ও বোন জুলিয়া
আমার স্ত্রী,কন্যা ও পুত্রের ওপর হামলা করে আহত করে।
সেই ঘটনায় আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেও মারধর করে। উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা
ছাড়া আর কোন কিছুই হয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারেএকটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।