গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতায় বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রটি বিগত দুই মাসে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ শহীদ তিতুমীরের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানটি পরিচালিত হয় ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাত ১০টার দিকে, দর্শনা থানাধীন পুরাতন বাজার এলাকার ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ এর সামনে।
এ সময় মোঃ তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০), পিতা- মোঃ তাইজুল ইসলাম, গ্রাম- দক্ষিণ চাঁদপুর (স্কুলপাড়া), থানা- দর্শনা, জেলা- চুয়াডাঙ্গাকে বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে নগদ ২৫,০০০ টাকা ও প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে রিয়াদের মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে প্রতারণা চক্রের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় মোঃ স্বপন আলী হৃদয় (২৫), পিতা- মৃত জাবেদ সরদার, গ্রাম- মোহরকয়া (হল্ট কয়লারডর), থানা- লালপুর, জেলা- নাটোরকে। ৯ এপ্রিল রাত ১টা ৩০ মিনিটে দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন বিকাশ প্রতারণায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে এবং আরও কয়েকজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করে।
তদন্তে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে রিয়াদের মাধ্যমে তা নগদায়ন করত স্বপন।
রিয়াদ লাভের একটি অংশ রেখে বাকি টাকা স্বপনের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।
পুলিশ জানায়, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তারা বিগত দুই মাসে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার লেনদেন করেছে, যার অধিকাংশই প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা।
এ ঘটনায় দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক অন্যান্য আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন,নগদ ২৫,০০০ টাকা।
দর্শনা থানা পুলিশের এই সফল অভিযানে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। একই সঙ্গে পুলিশ সাধারণ মানুষকে প্রতারণা সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।