জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পুরন্দরপুর দক্ষিণপাড়ায় শিশুদের পারস্পরিক বিরোধ থেকে শুরু হয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা-মাকে প্রতিপক্ষ মারাত্মক ভাবে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি সোমবার দুপুর দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা শেষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পুরন্দরপুর দক্ষিণপাড়ায় শিশুদের পারস্পরিক বিরোধ থেকে শুরু হয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা-মাকে প্রতিপক্ষ মারাত্মক ভাবে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি সোমবার দুপুর দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা শেষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের পুরন্দরপুর দক্ষিনপাড়ার প্রান্তিক কৃষক রাজা মিয়ার স্ত্রী সারমিন খাতুন বলেন,প্রতিপক্ষরা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন।
কিন্তু একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার শিশু সন্তান বরকত আলীকে(১০) প্রতিপক্ষের সাব্বির হোসেন সোমবার দুপুর দুইটার দিকে মাঠের ভিতরে একটি বালুগর্তে নিয়ে বালুচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনায় আমিও আমার স্বামী রাজা মিয়া প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা একই দিন বিকাল ৩ টার দিকে হাতে লাঠিসোটা,লোহার ইত্যাদি নিয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে আমাদের বাড়ীতে অনধিারে প্রবেশ করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আমার স্বামীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
এই সময় আমি তাদেরকে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ নফর আলী,আয়নাল হক,বিশাল,সাব্বির,সাবিনা,কল্পনা হাতে লাঠিসোটা
নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করে অজ্ঞা করে ফেলে এবং পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে মর্যাদাহানি করে।
নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করে অজ্ঞা করে ফেলে এবং পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে মর্যাদাহানি করে।
এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটি গিয়ে আমাকে রক্ষা করেন। প্রতিপক্ষরা এখনো আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং পুনরায় হামলার আশঙ্কায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আমরা জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
আমরা থানায় অভিযোগ করেছি,এই কারণে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে দমণ করতে তারাও আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মঈনুল হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি আমি শুনেছি। তবে গ্রামে এখন আর বিচার সালিস নেই,তাই বিষয়টি
উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে দু’পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দোষীদরে বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।