জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। দর্শনা সরকারি
কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী সাগরিকা খাতুন (২০) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাগরিকা খাতুন সুটিয়া স্কুলপাড়ার কৃষক ইউনুস আলী ও গৃহিণী পারভিনা খাতুনের মেয়ে।
গত ১২ এপ্রিল সাগরিকা তার মায়ের কাছে ৮ আনা ওজনের এক জোড়া সোনার দুল দাবি করে। কিন্তু মা সে দাবি প্রত্যাখ্যান করলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
সেই অভিমানে সাগরিকা ওই রাতেই ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসা শেষে ১৫ এপ্রিল সে বাড়ি ফিরে আসে।
তবে, ঘটনার পর থেকেই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন চলতে থাকে।
এরই মধ্যে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাগরিকার মা, বাবা ও ছোট ভাই পার্শ্ববর্তী খালার বাড়িতে ভুট্টা ছাড়াতে যান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে তারা সাগরিকার ঝুলন্ত মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিচে নামান।
বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মুকুল হোসেন বলেন, পারিবারিক কোন্দল ও মায়ের প্রতি অভিমানের জের ধরেই সাগরিকা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ঘটনাটি ঘিরে নানা রহস্য ও প্রশ্ন উঠেছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে এটি অপমৃত্যু হিসেবে ধরা হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এ ঘটনাকে শুধুমাত্র আত্মহত্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে সবার দৃষ্টি এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্তের দিকে।