বাংলাদেশের গর্ব: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস  একজন সত্যিকারের গ্লোবাল সেলিব্রিটি

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

বাংলাদেশের ইতিহাসে বিগত ৮৬ বছরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কয়জন ব্যক্তি নিজেদের বিশেষ অবদান ও স্বীকৃতির মাধ্যমে জাতিকে

গৌরবান্বিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নি:সন্দেহে শীর্ষে।

তিনি শুধু একজন নোবেল বিজয়ী নন, বরং এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারসমূহ অর্জন করে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন।

বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কারকে ধরা হয়।

তার পরপরই অবস্থান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং

কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল।ইতিহাসে এই তিনটি সম্মান একসাথে অর্জন করেছেন মাত্র ১২ জন ব্যক্তি — তাঁদের একজনই ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ববিখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসি পর্যন্ত প্রফেসর ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে।

২০২০  সালের  টোকিও  অলিম্পিকে তাঁকে অলিম্পিক মশাল বহনের মতো একটি প্রতীকী এবং সম্মানজনক ভূমিকায় আহ্বান জানানো হয়, যা তাঁর বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদার প্রতিচ্ছবি।

বিশ্বের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “ইউনূস সেন্টার” — এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগেই। মূলত, তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণা ও গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করেই এই স্বীকৃতি।

এটাই তাঁকে এনে দিয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার। উল্লেখযোগ্যভাবে, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের neither মালিক, nor শেয়ারহোল্ডার,

বরং একজন প্রতিষ্ঠাতা ও নীতিনির্ধারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তাঁকে ‘সুদখোর’ বলার মতো অপপ্রচার মাঝেমধ্যেই ওঠে, যেটি তথ্যগতভাবে অসত্য।

বিশ্বের প্রভাবশালী ধনকুবের ও প্রযুক্তিপ্রতিভা বিল গেটস নিজ হাতে গাড়ি চালিয়ে ইউনূসকেসিলিকন ভ্যালির বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন — যা তাঁর প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রদ্ধার একটি চমৎকার উদাহরণ।

অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে দেশে চলমান মামলাসমূহে যখন আদালতে হাজিরা দিতে হতো,

তখন বয়সজনিত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে লিফট ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে ৮ তলার

এজলাশ পর্যন্ত হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এমন অবস্থা একজন আন্তর্জাতিক মেধাবী ব্যক্তিত্বের জন্য বেদনাদায়ক বাস্তবতা নির্দেশ করে।

বর্তমানে ড. ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদদের তালিকায় নিয়মিত অবস্থান করেন এবং মুসলিম বিশ্বে তিনি অন্যতম নোবেল বিজয়ী হিসেবে আলাদাভাবে স্বীকৃত।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের জন্য এমন একজন নাগরিক নিঃসন্দেহে গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *