আবু সাইদ শওকত আলী, বিশেষ প্রতিনিধি:-
ঝিনাইদহ: ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে
ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার তাওহিদী জনতা ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, “রাসুল (সা.)-এর প্রতি আমাদের ঈমান ও ভালোবাসা মুসলমানদের অন্তরের অন্তঃস্থলে গাঁথা।
তাঁর মর্যাদায় সামান্যতম আঘাতও আমাদের জন্য অসহনীয়।”তিনি অভিযোগ করে বলেন,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদীস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেন, যা জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে অবিলম্বে প্রতিহত করে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম জনতার মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করলেও এখন পর্যন্ত তাকে আইনের আওতায়
আনা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।
ইমাম পরিষদ ঝিনাইদহ-এর পক্ষ থেকে গত ২৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসক,
পুলিশ সুপার এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের
অনুপস্থিতিতে গত ২৮ এপ্রিল হরিণাকুন্ডু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডা. হাফেজ মো. মমতাজুল করিম,
জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা রবিউল ইসলাম, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন বেলালী,
কোষাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডা. মমতাজুল করিম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আইনের প্রতি আস্থা রেখেই এগোতে চাই।
তবে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, তাওহিদী জনতা প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।”
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া গণমাধ্যমকে জানান,
পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে কোনো ধরণের গাফিলতি নেই।
বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অতি শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।