কোটচাঁদপুরে বলাৎকারের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়, সচেতন মহলে ক্ষোভ

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বলাৎকারের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৫ই মে) সন্ধ্যায় উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের হরিন্দীয়া গ্রামের মাঠে।

বলাৎকারের চেষ্টা চালায় ওই গ্রামের শুকুর আলী ডাক্তারের ছেলে হাফেজ সবুজ। এ বিষয় নিয়ে চলছে ব্যাপক তুলকালাম ও সমালোচনার ঝড় ।

জানা গেছে উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের লোকমানের ছেলে সাকিবকে (১৫) কয়েকদিন যাবৎ সমকামিতা করার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে।

সোমবার সন্ধ্যার সময় জমির ফসল দেখতে গেলে লম্পট সবুজ  সাকিবের জোরপূর্বক প্যান্ট খুলে বলৎকার করার চেষ্টা করে।

সে সময় সাকিব চিৎকার করলে মাঠের লোকজন ছুটে চলে আসে। তখন লম্পট সবুজ পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় ।  

লম্পট সবুজ উলঙ্গ হয়ে পালিয়ে বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন লাঠি শোঠা নিয়ে সাকিবের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে।

সাকিবের প্রতিবেশী কলেজ পড়ুয়াবদিউজ্জামানের ছেলে সজিব হৈচৈ শুনে দেখতে যায় সেখানে। তার উপরও হামলা ও লাঠিপেটা করে লম্পট সবুজের লোকজন। 

লম্পট সবুজ ইতিপূর্বে বলুহর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামে বলৎকারের ঘটনা ঘটায়।

আওয়ামী লীগ নেতা নজু চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে পার পায় ওই হাফেজ সবুজ। 

এছাড়াও কয়কমাস আগে হরিণদিয়া গ্রামে বলৎকারের চেষ্টা করলে জুতার মালা গলায় দিয়ে এমন ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেয় সে।

কিন্তু লম্পট সবুজ থেমে নেই, সমকামিতা করাই যেন তার নেশা।

এলাকায় লোকজন জানান লম্পট সবুজ মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমেও সমকামিতা করার কুপ্রস্তাব দেয়। 

এব্যাপারে কথা বলতে গনমাধ্যম কর্মীরা যায় তার বাড়িতে। সবুজ কোথায় জানতে চাইলে তার পিতা ডাক্তার শুকুর আলী বলেন, ছেলে বাড়ীতে নাই।

জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার ছেলের সাথে কি হয়েছিল? উত্তরে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে তারা ল্যাংটা করে পিটিয়েছে।

কি জন্য পিটিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনছি আমার ছেলে নাকি বলৎকারের চেষ্টা করেছে। তবে কতটুকু সত্য মিথ্যা আমি বলতে পারব না।

তবে আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি থানায় গেছিলাম অভিযোগ করতে তবে গ্রামের মোড়ল মাতব্বরদের আশ্বাসে থানাই অভিযোগ না করে ফিরে আসি।

তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে গ্রামে বসে এর একটা সুস্থ সমাধান করে দিবে।

এ ব্যাপারে আরও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় হাফেজ সবুজের সাথে, সবুজ গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এসে জিজ্ঞাসা করে আপনারা কে?

গণমাধ্যম কর্মীর পরিচয় পেয়ে সে কথা না বলে পালিয়ে যায়। ছেলেকে খোঁজ করে নিয়ে আসার নাম করে বাবাও হারিয়ে যায়। 

                        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *