কালীগঞ্জে আখচাষ বিষয়ক সম্মেলন: আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে টেকসই ও লাভজনক আখচাষের আহ্বান

আবু সাইদ শওকত আলী, বিশেষ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের  কালীগঞ্জে  আখচাষে  আধুনিক কলাকৌশলের প্রয়োগ ও লাভজনক উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহ বৃদ্ধি

পেয়েছে। শনিবার (১০ মে) সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়ায় অবস্থিত ফার্মাস এগ্রো অ্যান্ড ফিসারিজ-এর প্রাঙ্গণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গৌতম কুমার মন্ডল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোবারকগঞ্জ মিলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মো. জাহিদুর ইসলাম, মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুর রহমান রিংকু,

সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা রেদোয়ান আহমেদ এবং স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন।

সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন মিলের উপব্যবস্থাপক মহিদুল আলম।

প্রধান আলোচক গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, “আখ একটি অর্থকরী ফসল। সঠিক জাত নির্বাচন, উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি,

জমির উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আখচাষ অত্যন্ত লাভজনক করা সম্ভব।

কৃষকরা যদি সময়মতো প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করেন, তাহলে ধান বা ভুট্টার তুলনায় আখচাষ বেশি আয় বয়ে আনতে পারে।

” তিনি এসময় একটি ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে আধুনিক আখচাষ পদ্ধতির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কৃষক ওহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও শুকুর আলী আখের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান।

তারা বলেন, “ধান ও ভুট্টার চেয়ে আখের দাম কম থাকায় কৃষকরা ধীরে ধীরে আখচাষ থেকে সরে আসছেন।

ন্যায্য দাম না থাকলে এই অর্থকরী ফসলের প্রতি আগ্রহ হারাবে কৃষকসমাজ।”

প্রধান অতিথি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “মিল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের পাশে রয়েছে।

কৃষকদের প্রশিক্ষণ, চারা বিতরণ এবং পরামর্শ প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আখচাষে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে মিলের পক্ষ থেকে আরও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফার্মাস এগ্রো অ্যান্ড ফিসারিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়,

এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা সচেতন হবেন এবং আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত হবেন।

দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল কৃষক, মিল ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও আশা করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *