ঝিনাইদহে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের কুফল নিয়ে জেলা পর্যায়ে তামাকবিরোধী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

তামাক ও ধূমপানবিরোধী কার্যক্রমকে বেগবান করতে ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে দিনব্যাপী একটি

তামাকবিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জেলা

প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন,

স্বাস্থ্য বিভাগ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা।

জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য

ও আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এটিএম সাইফুল ইসলাম। প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি

হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের যুগ্ম সচিব মোঃ শফিউল আলম, ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ কামরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ

হাসান এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি আসিফ কাজল।

এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার আব্দুর রউফ, জেলার ৬ উপজেলার নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের

কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।

কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সিনেমা স্লাইডের মাধ্যমে

সচেতনতামূলক উপস্থাপনা দেন। তিনি জানান, পাবলিক প্লেসে ধূমপান শুধুমাত্র পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, এটি আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধও বটে।

বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে ফুসফুস ক্যানসার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকসহ নানাবিধ জটিল ও প্রাণঘাতী

রোগের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে

প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষতা মাকজনিত কারণে প্রাণ হারায়।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা মাঠ পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ,

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করা এবং তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তামাকবিরোধী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

হিসেবে প্রশংসিত হয়, যা জনসচেতনতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবান সমাজ গঠনে সহায়ক হবে বলে

উপস্থিতরা আশা প্রকাশ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *