জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে ৫৮ বিজিবি
ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য উদ্ধার ও সীমান্ত
অতিক্রমের চেষ্টা কালে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর বিওপির সুবেদার আব্দুল করিম খানের নেতৃত্বে
সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযান
চালিয়ে উপজেলার গোয়ালপাড়ার মাঠে জনৈক
আব্দুল লতিফ মিয়ার আম বাগানে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা
করেন।
এ সময় বিজিবি সদস্যরা ৮৭টি ভারতীয় চশমা এবং ১২৯টি আতশবাজি উদ্ধার করেন।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টার সময় মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর বিওপি’র
সীমান্ত পিলার ৬১/১৮-আর এলাকা থেকে মোঃ মিন্টু হোসেনের আমবাগানে অভিযান
পরিচালনা করেন উক্ত ক্যাম্পের নায়েক জাহাঙ্গীর কবির।
চালিয়ে একজন বাংলাদেশি নারীকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নায়েক মোঃ জাহাঙ্গীর কবির।
অন্যদিকে, একই দিন সকাল ১০.১০ মিনিটের দিকে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা বিওপি’র আওতাধীন বটতলা মোড় থেকে ভারত থেকে
বাংলাদেশে প্রবেশকালে তিনজন পুরুষ নাগরিককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-মাগুরার শালিখা উপজেলার চতিয়া গ্রামের বিপ্র মন্ডল(৩২),বিপ্লব বিশ্বাস(২৪) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পন্ডিপুর গ্রামের সৌরভ বিশ্বাস(২৭)।
এদিকে সকাল ১১.৫০মিনিটের সময় কুমিল্লাপাড়া বিওপি’র সীমান্ত পিলার ৬০/৪৫-আর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন নারী বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে প্রবেশের সময় আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লাপাড়া বিওপির হাবিলদার কাজী আবেদ আলী।
এর কিছু সময় পর, ভোর পৌনে ৫ টার দিকে একই বিওপি’র আওতায় কুমিল্লাপাড়া গ্রামের মাঠ
থেকে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত থেকে প্রবেশকালে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে একজন পুরুষ ও আটজন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাবিল আব্দুর রশিদ।
আটকদের মধ্যে অন্যতম নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের রাব্বি তালুদার।
এছাড়াও, মধ্যরাত ১২.১০ মিনিটেরসময় বাঘাডাঙ্গা বিওপি’র আওতাধীন হুদাপাড়া গ্রাম থেকে ভারতে
যাওয়ার সময় আরও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার জব্দকাঠি গ্রামের চিত্ত রঞ্জন পাইকসহ(৬৪)একজন নারী ও একজন শিশু।
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সদস্যরা সর্বদা সচেষ্ট।
চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নিয়মিত অভিযান ও টহল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”