জীবননগরে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে  সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ গুজব ও প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র দাবী

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির  বহিস্কৃত  সাধারন  সম্পাদক  আবুল বাসারের বিরুদ্ধে সদ্য অবসরে আসা এক সেনা

স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ গুজব ও ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন বিএনপি নেতা আবুল বাসার।

অন্যদিকে সেনা সদস্যের স্ত্রীর দাবী তিনি পরিবার থেকে  রাগ  করে  টাঙ্গাইলে  আত্মীয়  বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

রোববার এলাকায় ফিরে তার বিরুদ্ধে গুজবের ব্যাপারটি থানা পুলিশের নিকট পরিস্কার করবেন।

জীবননগর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত হাজী গরিব হোসেনের ছেলে আবুল বাসার বলেন,আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমাকে অন্যায় ভাবে সম্প্রতি বাঁকা ইউনিয়ন

বিএনপির সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।   মহলটি  জানতে  পেরেছেন

আমার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আর সেই মহলটি আমার বিরুদ্ধে আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমি ঢাকা বিশেষ কাজে অবস্থান

করার সুযোগে মহলটি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আমি নাকি সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছি।

আসলে আমার প্রতিপক্ষরা এলাকায় আমার বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে আমার রাজনৈতিক ও

পারিবারিক সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি আসলে এ ধরনের ঘটনার সাথে মোটেও জড়িত নয়।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন মোবাইল ফোনে বলেন,আবুল বাসারের সাথে আমার অবৈধ কোন সম্পর্ক নেই।

আমি তো বাড়ীতে আমার স্বামীর সাথে অভিমান করে বর্তমানে টাঙ্গাইলে আমার আত্মীয় বাড়ীতে

অবস্থান করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও পত্র পত্রিকায় আমার ও আবুল

বাসারকে জড়িয়ে যে সব ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা একটি মহলের ষড়যন্ত্র। আমি রোববার থানায়

গিয়ে সব ঘটনা পরিস্কার করব। এদিকে এ ঘটনায় সেনা সদস্যের পরিবারও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে

পড়েছেন। ঘটনার চাক্ষুষ কোন সাক্ষী না থাকার কারণে ঘটনা প্রমান করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে
পড়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর দাবী অভিযোগেও যদিও দাবী করা হয়েছে সেনা সদস্যের বাড়ীর

সামনে রাস্তা থেকে গৃহবধূ রোকেয়া খাতুনকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার স্বপক্ষে কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই, আর তা একটি জনবহুল এলাকা থেকে সহজে করাও সম্ভব নয়। 

সচেতন মহলের দাবী যে নারীকে অভিযোগ সেই নারী-ই যদি ঘটনার কথা অস্বীকার করে তাহলে আর কি করার!

বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির ৬ ওয়ার্ড সভাপতি সুমন হোসেন বলেন,আবুল বাসার একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ। তার কি এসব করার সময়

শক্তি আছে? তা তাদের ঘটনার সাথে সেনা সদস্য কাশেম আলী আমাকেও অন্যের কথামত আমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল।

আবার সেই-ই থানা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার রে নিয়েছেন।

আসলে গৃহবধূ রোকেয়া খাতুনের পারিবারিক কলহের ঘটনা এবং সহজ সরল প্রকৃতির

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার

করতে মাঠে নেমেছেন। আমি ও আবুল বাসার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ষড়যন্ত্রের শিকার। 

আসলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের স্ত্রী বাড়ী থেকে রাগ করে কাউকে না বলে চলে যাওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে আমাদের দলের কিছু কুচক্রি

মহল আবুল  বাসারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদে মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যেই ওই সেনা সদস্য তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া কথা বলেছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,একটি ঘটনার ব্যাপারে  লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সেনা সদস্য কাশেম

আলী তার লিখিত অভিযোগ থেকে ইতিমধ্যেই সুমন  হোসেন  নামের  এক  অভিযুক্তের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

অন্যদিকে তার স্ত্রী রোববারের মধ্যে থানায় এসে দেখা করবেন
বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন তিনি টাঙ্গাইলে অবস্থান করছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *