জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির প্রতিবাদ, সরকারকে কঠোর সমালোচনা চুন্নুর

গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-

জাতীয়  পার্টির  চেয়ারম্যান  গোলাম  মোহাম্মদ কাদেরের রংপুরস্থ বাসভবনে হামলার ঘটনায় তীব্র

প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু। বৃহস্পতিবার (২৯ মে)

রাতে এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।

চুন্নু অভিযোগ করেন, “গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাসভবনে অবস্থানকালে একটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কিছু দুর্বৃত্ত বাসভবনে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা জানালার কাচ ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়।”

তিনি বলেন, “দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়ের প্রত্যাশা

করেছিল। কিন্তু সরকার গঠনের নয় মাস পরেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

বরং মব জাস্টিস, সন্ত্রাসী হামলা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “বর্তমান সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

সংবিধানে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ বলে কিছু নেই, রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টা

হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারা কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছেন না।”

চুন্নু এসময় দাবি করেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার মাধ্যমে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের যদি কোনো অপরাধ থাকে, তাহলে তার বিচার হতে পারে।

কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং সতর্ক করে বলেন, “এই

ঘটনার বিচার না হলে জাতীয় পার্টি রাজপথে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।”

সমাবেশ শেষে তিনি আগামীকাল (৩১ মে) সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

কর্মসূচির আওতায় জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে

এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলায় কারা জড়িত এবং তাদের রাজনৈতিক

পরিচয় সম্পর্কেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চিত তথ্য জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের জন্য সব দলের জন্য

সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

অপরিহার্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের ভূমিকা এবং নিরপেক্ষতা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *