গঞ্জেরখবর ডেস্ক:
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির ৩ হাজার ২শ ১০ কেজি চাল আত্মসাতের চেষ্টাকালে সেনাবাহিনীর অভিযানে চাল জব্দ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোমবার (২ জুন) ভোরে গৌরীপুরের ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ১০৭ বস্তা (প্রায় ৩২২১ কেজি) ভিজিএফ এর চাল উদ্ধার করে।
এ সময় কথিত কালোবাজারি শাহজাহানের স্ত্রী মোছা. কল্পনা আক্তার (৪৫) আটক হন। বাকিরা অভিযানের সময় পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র ও সেনাবাহিনীর বরাতে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারা দেশের মতো গৌরীপুর উপজেলায়ও ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার (১ জুন) রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে চাল
বিতরণ শুরু হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমীন জনির নির্দেশে তাঁর ছোট ভাই রতন মাস্টার ও শ্যালক তুহিন গভীর রাতে বড় একটি চালান বিক্রির জন্য সরিয়ে নেন। এসব চাল স্থানীয় মো. শাহজাহানের বাড়িতে গোপনে মজুদ করে রাখা হয়।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে ওই চাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল তাদের আটকে দেয়। এ সময় অনেকে পালিয়ে গেলেও কল্পনা আক্তার ধরা পড়েন। পরে তার স্বামীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১০৭ বস্তা ভিজিএফ চাল জব্দ করা হয়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমীন জনির মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব টুম্পা রানীকেও বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম সাজ্জাদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি তদন্তে চাল আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। ঈদকে সামনে রেখে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল নিয়ে এমন দুর্নীতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তারা মন্তব্য করেন।