জীবননগর সদরপাড়ায় আম কুড়িয়ে খাওয়ায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন দফায় দফায় হামলায় গুরুতর জখম –

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে   আম  কুড়ানোকে  কেন্দ্র করে  এক  হৃদয়বিদারক  ও বর্বরোচিত  ঘটনা  ঘটেছে  উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের সদরপাড়ায়। ঘটনাটি শনিবার(৩১ মে) দুপুর থেকে রাত ৯

টা পর্যন্ত চলতে থাকে। আমবাগান থেকে একটি আম কুড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর, পরবর্তীতে একাধিক বাড়িতে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জীবননগর  উপজেলার  সদরপাড়া  গ্রামের  জহুরুল ইসলাম (৪৮) লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে হৃদয় হোসেন (২৫) বাগানে পড়ে থাকা একটি আম কুড়ানো মাত্রই অভিযুক্ত সোয়াইব হোসেন (৩৫),রাসেল হোসেন (৩৪),বক্তিয়ার হোসেন

(৩০),তারেক হোসেন (৩০), কামরুল ইসলাম (৩৫) ও ৬) সুমন হোসেন (৩০)তাকে ধরে পার্শ্ববর্তী ’ফরমান মণ্ডলের বাগানবাড়ি’ নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি মেহগনি গাছের সাথে গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং তারা ক্ষণে ক্ষণে মদ খায়,আর একের পর এক তার ছেলেকে মারপিট করতে থাকে। তারা হৃদয়কে কয়েক ঘন্টা ধরে নির্যাতন করে এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্যাতনের একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হৃদয়কে উদ্ধার করা হয়।

নির্যাতনকারীরা একদিন রাত ৯টার দিকে হাতে দা,লাঠিসোটা,লোহার ইত্যাদি নিয়ে আবারও হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের জনৈক শখের আলীর চায়ের দোকানে বসে থাকা ভুক্তভোগীর ছোট ভাই

কামরুজ্জামানকে পেয়ে দলবদ্ধ ভাবে তারা মারধর শুরু করে। এ সময় রাসেল হোসেন হাসুয়া দিয়ে কামরুজ্জামানের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে অভিযুক্ত সোয়াইব হোসেন

হাতুড়ি দিয়ে কামরুজ্জামানের বাম হাত ও পায়ে আঘাত করে, ফলে তার হাড় ভেঙে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়।

এরপর হামলাকারীরা ভুক্তভোগীর আরেক ভাই জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে মারধর করে এবং তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে চলে  যায়।

পরে তাদের চাচা ইশাবুল হকের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ইশাবুল হক বাড়িতে না থাকায় তাকে না পেয়ে হুমকি দিয়ে যায় অভিযুক্তরা“তোর মেয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়

তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।”গুরুতর আহত কামরুজ্জামানকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার বদর উদ্দিন বাদল বলেন,আমি নিজ চোখে হামলার ঘটনা দেখেছি। অভিযুক্তরা অত্যন্ত মারমুখী ও হিংস্র আচরণ করছিল।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান,ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *